গাজীপুরের সাফারি পার্কের সাফারি কিংডম এলাকায় থাকা উগান্ডার জাতীয় পাখি গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন প্রথমবার একটি ছানার জন্ম দিয়েছে। সেখানে বিশাল আকারের খাঁচার ভেতর কালিম, পেলিক্যান, রাজধনেশসহ বিভিন্ন পাখির সঙ্গে এক জোড়া গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেনের বসতি। সেখানেই ছোট ঘাস–পাতার আড়ালে একটি ছানাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ছানাটির জন্ম হয়। গায়ের রং সাদা ও বাদামি।
পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন উগান্ডার জাতীয় পাখি। ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এই পাখিগুলো আনা হয়। বিভিন্ন সময় ডিম দিলেও ছানার জন্ম হয়নি।
এবারই প্রথম ছানা হয়েছে। তিনটি ডিমের মধ্যে কেবল একটি ডিম ফুটে ছানার জন্ম হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, এদের ডিম ফুটে ছানার বের হতে ২৮–৩০ দিনের মতো সময় লাগে। পার্কের বন্য প্রাণী–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন বিচিত্র বৈশিষ্ট্যের জন্য সারা বিশ্বে জনপ্রিয়।
এরা অন্যান্য পাখি ডাক নকল করে সেভাবে ডাকতে পারে। এ ছাড়া টিকে থাকার কৌশল হিসেবে এদের রয়েছে বিচিত্র বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের স্বভাব। এসব পাখি একনাগাড়ে মাইলের পর মাইল উড়তে পাড়ে। বিশাল ডানা এদের ওড়ার এই অতিরিক্ত শক্তি জোগায়।
গাজীপুর সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান বলেন, সাফারি পার্কে, এমনকি দেশে প্রথম এই পাখির ছানার জন্ম হয়েছে।
পাখিগুলো উন্মুক্ত পরিবেশে ২০ বছর বাঁচে। তবে আবদ্ধ পরিবেশে বাঁচে প্রায় ২৫ বছর। তিন বছর বয়সে এরা প্রাপ্তবয়স্ক হয়। গ্রে ক্রাউন্ড ক্রেন একবার সঙ্গী বাছাই করলে সারা জীবন সে সম্পর্ক টিকে থাকে। সাফারি পার্কে পাখিটি ছানা দেওয়ার ফলে ভবিষ্যতে আরো ছানা পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।























