জমি নেই, কিন্তু স্বপ্ন আছে বড়। সেই স্বপ্নের জোরে জমি ছাড়াই বস্তায় আদা চাষ করে মিলছে সফলতা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় সহজে সরিয়ে নেয়া যায় বস্তা। উৎপাদন ও লাভের পরিমাণ ভালো হওয়ায় সাভার-ধামরাইসহ আশপাশের অনেকে ঝুঁকছেন বস্তা পদ্ধতির আদা চাষে।
সাভারে বাড়ছে বস্তায় আদা চাষ। স্বল্প জমি ও খরচ কম হওয়ায় এ পদ্ধতিতে বাড়ছে আদা চাষের পরিমাণ। ফলন ভালো হওয়ায় আগ্রহী হচ্ছেন অনেকে।
শখের বসে ইউটিউব দেখে বাড়ির আঙিনায় আদা চাষ করেন শফিকুল ইসলাম। প্রথম বছরেই কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এবার বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন সাড়ে পাঁচ হাজার বস্তায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বস্তা সরিয়ে নেয়া যায় নিরাপদ স্থানে। ফলে ক্ষতির ঝুঁকিও কম।
উদ্যোক্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রথমে ছোট পরিসরে চাষ করে কাজটি শুরু করেছিলাম, সেখান থেকে উৎপাদন মোটামুটি ভালো পেয়েছি। তাই এবার বাণিজ্যিকভাবে আদা চাষ করছি।’
বাড়ির উঠান, পুকুরপাড় কিংবা রাস্তার ধারে করা যায় বস্তায় আদা চাষ। এতে বাড়ছে উৎপাদন, হচ্ছে কর্মসংস্থান। অনেকেই ঝুঁকছে আদা চাষে। চাষিরা জানান, তারা বস্তায় আদা রোপণ করেন। সেখানে আগাছা হলে পরিষ্কার করেন। এভাবেই তারা বস্তায় আদা চাষ করছেন।
বস্তায় আদা চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন ‘বস্তায় আদা চাষের জন্য আমরা এ নতুন পদ্ধতিটি সম্প্রতি সময়ে মাঠে সম্প্রসারিত করেছি। এ বছর প্রায় ৪০ হাজার বস্তায় আমাদের আদা চাষ হয়েছে। এছাড়া প্রতি ঘরে ঘরে কৃষকরা নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী দা চাষ করেছেন।’
বস্তায় আদা চাষ, আমদানি নির্ভরতা কমানোর পাশাপাশি পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনতে বড় ভূমিকা রাখছে।























