ঢাকা   শনিবার
২৫ অক্টোবর ২০২৫
৯ কার্তিক ১৪৩২, ০২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ড্রাগন ফল চাষে সফল রামগড়ের তরুণ উদ্যোক্তা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

ড্রাগন ফল চাষে সফল রামগড়ের তরুণ উদ্যোক্তা

রামগড়ের কমপাড়া গ্রামের ২৩ বছর বয়সী কলেজছাত্র নাহিদ হোসেন ড্রাগন ফল চাষ করে বছরে তিন থেকে চার লাখ টাকা উপার্জন করছেন। তিনি নিজের ৫০ শতক জমি ব্যবহার করে স্থানীয় আবহাওয়া ও মাটির সুবিধা কাজে লাগিয়ে ফলের বাগান সাজিয়েছেন।

নাহিদ রামগড় সরকারি কলেজের বিএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাগানে ৭-৮ ফুট উঁচু সিমেন্টের পিলারের পাশে ড্রাগনের গাছ রোপণ করা হয়েছে।

পিলারগুলোর ওপর লোহার রডে পুরনো গাড়ি ও সাইকেলের টায়ার ব্যবহার করে বাগানটি আয়তন ও কাঠামোগতভাবে সুসংগঠিত করা হয়েছে। বর্তমানে তার বাগানে প্রায় দেড় হাজার ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে। প্রতিটি পিলারে চারটি গাছ থেকে বছরে ৩০-৪০ কেজি ফল উৎপাদন হয়। বাজারে প্রতি কেজি ফলের দাম ১৮০-২০০ টাকা।

নাহিদ জানান, কয়েক বছর আগে রামগড় হর্টিকালচার সেন্টারের সহযোগিতায় তার বাবা আবুল কাশেমের সঙ্গে মিলে ৩০টি পিলার ও ৯০টি চারা রোপণ করে বাগান শুরু করেছিলেন। সঠিক পরিচর্যার কারণে দুই বছরের মধ্যে গাছে পূর্ণ ফলন আসে। তিনি নতুন আগ্রহী চাষিদের সরাসরি চারা সরবরাহ করছেন।

রামগড় হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-সহকারী উদ্যান কর্মকর্তা ভূষণ মহাজন বলেন, ‘নাহিদ হোসেনের ড্রাগন চাষ অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা।

বেকার যুবক ও শিক্ষার্থীরাও ফলজ চাষে লাভবান হতে পারবেন।’ চিংহ্লাপ্রু চৌধুরী, হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-সহকারী কর্মকর্তা চিংহ্লাপ্রু চৌধুরী বলেন, ‘ড্রাগন ফল রামগড়ের আবহাওয়া ও মাটির জন্য খুবই উপযোগী। বাউ-১ ও বাউ-২ জাতের গাছ একটানা ৬–৭ মাস ফল দেয়। এ ফল পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ, দৃষ্টি সুস্থ রাখে, শরীরের চর্বি ও কোলেস্টেরল কমায়, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। স্থানীয় বাজারে এর চাহিদা থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।