ছোট পুকুরে শিং মাছ চাষ করে ভালোভাবে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছিলেন দরিদ্র আবুল কালাম। কিন্তু শত্রুতার বিষে তাঁর পুকুরের সব মাছ মরে গেছে। গত শুক্রবার রাতে তাঁর পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে একটি চক্র। মুহূর্তেই সব মাছ মরে ভেসে ওঠে। এতে কালামের প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি দেখে পুকুর পাড়ের মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে বিলাপ করতে থাকেন তিনি। তার বাড়ি নান্দাইল উপজেলার গাঙ্গাইল ইউনিয়নের অরণ্যপাশা গ্রামে।
আবুল কালামের জমিজমা বলতে বাড়িভিটা ছাড়া ২২ শতকের একটি পুকুর রয়েছে। কয়েক বছর ধরে সেই পুকুরে শিং মাছ চাষ করে আসছেন তিনি। এবারও ছয় মাস আগে ওই পুকুরে তিন লাখ টাকার শিং মাছের পোনা ছাড়েন। হাতে টাকা না থাকায় ছয় মাস ধরে চৌরাস্তার মাছের খাদ্য বিক্রেতা মতিউর রহমান মতির কাছ থেকে বাকিতে ১৩ লাখ টাকার খাদ্য কিনে পোনাকে খাওয়ান। মাছগুলো বিক্রির উপযোগী হলেও বাজারে দাম কম থাকায় বিক্রি করতে রাজি হচ্ছিলেন না। গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে কে বা কারা তাঁর সেই পুকুরে বিষ ঢেলে দেয়। মুহূর্তেই সব মাছ মরে ভেসে ওঠে।
শনিবার দুপুরে আবুল কালামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে লোকজনের ভিড়। পাড়া-পড়শিরা পুকুর থেকে যে যেভাবে পারছেন মাছ উঠিয়ে বিভিন্ন পাত্রে রাখছেন।
আবুল কালামের অভিযোগ, এলাকার সোহাগ এবং শ্যালনের সঙ্গে তাঁর শত্রুতা। তারাই বিষ ঢেলে মাছ মারার ঘটনায় জড়িত।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে সোহাগ ও শ্যালনের বাড়িতে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি। তাদের মা জাহানারা বেগম বলেন, সন্দেহের বশে তাঁর ছেলেদের নামে অভিযোগ করা উচিত হচ্ছে না।























