ঢাকা   বৃহস্পতিবার
১৪ আগস্ট ২০২৫
২৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৯ সফর ১৪৪৭

মনসাপূজাকে ঘিরে পাঁঠার বাজারে সরগরম

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ১৪ আগস্ট ২০২৫

মনসাপূজাকে ঘিরে পাঁঠার বাজারে সরগরম

চট্টগ্রামের রাউজানে আসন্ন মনসাপূজাকে ঘিরে পাঁঠার বাজারে সরগরম পরিবেশ বিরাজ করছে। উপজেলার ফকিরহাট, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারা বটতল গফুর আলী বোস্তামী হাট, ব্রাহ্মণহাট, রমজান আলী হাটসহ বেশ কয়েকটি বড় হাটে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় থাকে। মনসাপূজার অন্যতম অংশ হিসেবে দেবী মনসার উদ্দেশে পাঁঠা বলি দেওয়ার প্রথা থাকায় এই সময় পাঁঠার চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুণ, ফলে বাজারে জমে ওঠে বেচাকেনা।

পাঁঠার আকার ও জাতভেদে দাম পড়ছে আট হাজার থেকে শুরু করে ২৫-৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

ছোট আকারের দেশি পাঁঠা বিক্রি হচ্ছে আট থেকে ১২ হাজার টাকায়, মাঝারি আকারের দাম ১৩-১৮ হাজার টাকা এবং বড় আকারের পাঁঠা ২০-৩০ হাজার টাকায় হাতবদল হচ্ছে। ফকিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এবার চাহিদা অনেক বেশি, তবে খামারে খাবার ও চিকিৎসা খরচ বেড়ে যাওয়ায় দামও কিছুটা বেশি পড়ছে।’ গফুর আলী বোস্তামী হাটে পাঁঠা বিক্রি করতে আসা খামারি সোহেল আহমেদ জানান, ‘মনসা পূজার আগে কয়েক মাস ধরে পাঁঠা লালন-পালন করি। এই সময়েই ভালো লাভ হয়।

এবারও বিক্রি ভালো যাচ্ছে।’

ক্রেতাদের মধ্যেও উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। ব্রাহ্মণহাটে পাঁঠা কিনতে আসা হরি দাস বলেন, ‘আমরা প্রতিবছরই এই সময়ে পাঁঠা কিনি। মনসাপূজা আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান।

দাম বেশি হলেও কিনতেই হবে।’ রমজান আলী হাটের ক্রেতা ঝর্না বালা বলেন, ‘আগে যে পাঁঠা ১২ হাজার টাকায় পাওয়া যেত, এখন তা ১৫ হাজারের নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু পূজার আনন্দের জন্য এসব হিসাব করিনি।’

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মনসাপূজার আগের সপ্তাহে বিক্রি সবচেয়ে বেশি হয়। শুধু ফকিরহাট বাজারেই প্রতিদিন প্রায় ২৫০-৪০০টি পাঁঠা বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের দায়িত্বশীলরা বলেন ‘এবারের মনসাপূজায় রাউজানে প্রায় ১০-১৫ হাজার পাঁঠা বিক্রি হতে পারে।’

সর্বশেষ