
খামারিদের আর্থিক সুবিধার্থে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ব্যাংক তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে বরিশালের একটি অভিজাত হোটেলের হলরুমে লাইভস্টক এবং ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এলডিডিপি) বরিশাল বিভাগীয় প্রগ্রেস রিভিউ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ে নারীরা মৎস্য ও খামার প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হচ্ছে। তারা নিজেদের পরিবারে আর্থিক সহায়তায় বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এ খামারিদের অর্থের যোগান দিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ব্যাংক করা যায় কিনা তা নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়েছে।
বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ভোলা ও পটুয়াখালীতে দুধের খাটতি রয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘দুধের জাতীয় পর্যায়ে যে ঘাটতি রয়েছে, তা আমদানি করে মেটাতে হয়। এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক। তাই খামারিদের বলবো আপনারা দুধ ও মাংস উৎপাদনের দিক লক্ষ্য দিন।’
এসময় তিনি বলেন, ‘আমেরিকার বাড়তি শুল্কের প্রভাব পড়েছে মাংসের ওপরও। আমাদের মাংসের উৎপাদন বাড়াতে হবে। দুর্গম এলাকাগুলোতে পশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা অনেকটা কষ্টসাধ্য। খুব শিগগিরই প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে পশু চিকিৎসার জন্য ভ্রাম্যমান হাসপাতালের ব্যবস্থা করছি। আমাদের লক্ষ্য গরুর মাংসের কেজি ৫শ’ টাকায় নামিয়ে আনার।’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলার কর্মকর্তাসহ খামারিরা উপস্থিত ছিলেন।