হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি চা বাগানের ভেতরে অবস্থিত বিলটি পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ তৈরি করেছে। প্রতিবছর এ মৌসুমে বিলটিতে ফোটে অজস্র লাল শাপলা। চারদিকে চা বাগান আর মাঝখানে লাল শাপলার বিল। যেন প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য। বিলটি প্রতিদিন মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পর্যটকদের মধ্যে। বিলটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে সব বয়সী মানুষ প্রতিদিন ভিড় করছে এখানে।
প্রতিবছর শরতের আগমন থেকে শীতের শেষ পর্যন্ত ভোরের আলোয় দেউন্দি চা বাগানের বিলটি লাল শাপলায় রঙিন হয়ে ওঠে। কুয়াশার চাদরে মোড়া সকাল আর পাখির কলতান মিলিয়ে এখানকার পরিবেশ অতুলনীয়। পাহাড়, আকাশ আর শাপলার সৌন্দর্য মিলিয়ে এটি যেন অন্য এক অনুভূতি। তাই পর্যটকরা মন ভরে উপভোগ করেন শাপলার সৌন্দর্য। এখানে ঘুরতে এসেই ফটোসেশন ও ভিডিও চিত্র ধারণে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা।
ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বিলটি এখন ‘শাপলার রাজ্য’ নামে পরিচিত। শাপলার বিল ঘোরার পাশাপাশি চারদিকে ঘেরা পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য সহজে কেড়ে নেয় পর্যটকদের মন। এতে দিন দিন বাড়ছে পর্যটক। তবে ঘুরে আসা পর্যটকদের অভিযোগ, বিলটিতে শৌচাগার না থাকার পাশাপাশি পার্কিং ব্যবস্থাসহ নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। বিলটি রক্ষা ও নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান তারা।
আমান উল্লাহ নামে এক পর্যটক বলেন, চা-বাগানের ভেতরে এই লাল শাপলা বিল সত্যিই দেখতে অনেক সুন্দর। শাপলা যখন ফোটে, তখন দৃশ্যটা দেখে মন ভরে যায়। এখানে এমনিতেই চারদিকে চা বাগান, নিস্তব্ধ পরিবেশ, এর মধ্যে লাল শাপলা যেন এক খণ্ড স্বর্গরাজ্য।
নয়ন মিয়া নামে অন্য এক পর্যটক জানান, শাপলার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো। তবে অনেকেই শাপলা সংগ্রহ করতে গিয়ে এ সৌন্দর্য নষ্ট করছে। বিলের সৌন্দর্য রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
নারী পর্যটক বিপাসা দাস বলেন, ‘অনেকের মুখে শুনেছিলাম জায়গাটা অনেক সুন্দর, বাস্তবে দেখে বিশ্বাস হলো। চা বাগান আর শাপলার বিল একসঙ্গে দেখে ভালো লেগেছে।’
এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলার ইউএনও মো. জিয়াউর রহমান বলেন, দেউন্দি চা বাগানের বিলে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সুবিধার্থে সেখানে শৌচাগার নির্মাণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। পাশাপাশি সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।























