ঢাকা   শনিবার
০৫ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২, ০৯ মুহররম ১৪৪৭

কৃষি শিক্ষাকে বিশ্বমানের করার লক্ষ্যে শেকৃবির শিক্ষার্থীদের তিন দাবি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৩১, ৫ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১২:৩২, ৫ জুলাই ২০২৫

কৃষি শিক্ষাকে বিশ্বমানের করার লক্ষ্যে শেকৃবির শিক্ষার্থীদের তিন দাবি

কৃষি শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও বিশ্বমানের করার লক্ষ্যে সময়োপযোগী এক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) চলমান ৮০, ৮১, ৮২ এবং ৮৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ের নিকট তাঁদের সুচিন্তিত ও বাস্তবসম্মত তিন দফা দাবি পেশ করেছেন। শিক্ষার্থীদের মতে, এই দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের কৃষি শিক্ষা আধুনিকীকরণ হবে এবং দেশের কৃষি খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

শিক্ষার্থীরা মনে করেন, আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাপনায় হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েও 'পেইড ইন্টার্নশীপ' কোর্স চালু রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করছে। শেকৃবি'র কৃষি অনুষদেও এই কোর্স দ্রুত চালু করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা, যা তাদের B.Sc. Ag.(Hons.) ডিগ্রিকে আরও আধুনিক ও কর্মমুখী করে তুলবে এবং এর যথাযথ ক্রেডিট প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে।

অতীতে শেকৃবি'র কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীদের স্নাতক শেষ বর্ষে সার্কভুক্ত দেশগুলিতে শিক্ষা সফরের একটি গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ছিল। এই সফর আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা, আধুনিক প্রযুক্তি এবং বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের এক অনন্য সুযোগ করে দিত। শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে এই গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমটি পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়েছেন, যা তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়নে শ্রেণিকক্ষের আধুনিকীকরণকে অত্যাবশ্যক মনে করেন। তাদের দাবি, শ্রেণিকক্ষগুলোতে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা যেমন - শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (এসি), উন্নত সাউন্ড সিস্টেম ইত্যাদি স্থাপন করা হোক। তাদের বিশ্বাস, আধুনিক শ্রেণিকক্ষ শিক্ষার্থীদের জন্য আরও আরামদায়ক ও মনোযোগী শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করবে, যা উচ্চশিক্ষার মান বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

একজন শিক্ষার্থী বলেন যে, এই দাবিগুলো কেবল তাদের ব্যক্তিগত একাডেমিক উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত নয়, বরং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের কৃষি খাতের ভবিষ্যতকে উজ্জ্বল করবে। উপাচার্য মহোদয় আমাদের এই যৌক্তিক দাবিগুলোকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে একটি আধুনিক, প্রযুক্তি-নির্ভর ও আন্তর্জাতিক মানের কৃষি শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।

শিক্ষার্থীরা এখন অধীর আগ্রহে উপাচার্য মহোদয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন। তাঁদের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের কৃষি শিক্ষাকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে বলে শিক্ষাবিদ ও কৃষি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

সর্বশেষ