ঢাকা   বৃহস্পতিবার
১৩ নভেম্বর ২০২৫
২৮ কার্তিক ১৪৩২, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

সড়কের দুই পাশের পতিত মাটিতে মাষকলাই চাষে লাখ টাকা আয়

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:২৭, ৯ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ০৮:২৮, ৯ নভেম্বর ২০২৫

সড়কের দুই পাশের পতিত মাটিতে মাষকলাই চাষে লাখ টাকা আয়

পথের দুই পাশের পতিত মাটিতে চাষাবাদকে সম্ভব করে তুলেছে ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার কৃষি বিভাগ। উপজেলার প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে কৃষকরা এবার চাষ করেছেন পুষ্টিসমৃদ্ধ মাষকলাইয়ের ডাল। এই ডাল চাষে তেমন কোনো খরচ নেই। শুধু রোগবালাই হলো কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়।

মাত্র আড়াই থেকে তিন মাসেই ডালের ফলন পাওয়া যায়। দেশে এমন চাষাবাদ এখনো জনপ্রিয় হয়নি। কৃষি বিভাগ আশা করছে এবার পথের ধারের পতিত জমিতে চাষ হওয়া মাষকলাইয়ের ডাল থেকে প্রায় লাখ টাকা কৃষকরা আয় করতে পারবেন।

কৃষি বিভাগ জানায়, আমাদের দেশে হাজার হাজার কিলোমিটার পথের দুই পাশের মাটিও চাষাবাদের উপযোগী। কিন্তু এ ব্যাপারে সচেতনতা নেই, বরং কিছুটা উঁচু জমি হওয়ায় চাষাবাদে পথের পাশের জমি অনেক সুবিধাজনক। এসব পতিত জমিতে মৌসুমভেদে ডালসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন করে দেশের কৃষি উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। এতে স্থানীয় কৃষকদেরও লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু দেশে এ চিত্রটি হতাশাজনক। তবে এ ব্যাপারে প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন ফুলপুরের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। তাঁরা এবার উপজেলার বেশ কিছু স্থানে সড়কের পতিত জমিতে মাষকলাই ডালের চাষ করেছেন। কিছু পুকুরপারকেও তাঁরা এ চাষের আওতায় এনেছেন।  

মাষকলাইয়ের ডালের বাজারমূল্য ১২০ টাকা। সম্ভাব্য ফলন প্রায় ৮০০ কেজি ডাল।

এতে এর বিক্রয়মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৯৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া গাছের অন্য অংশ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। সড়কের পাশের জমির মালিকই ডালের মালিক হবেন। কারণ তিনিই পরিচর্যা করেছেন। মোট প্রায় ২৫ কেজি বীজ লেগেছে। কৃষকরা বাজার থেকে বীজ সংগ্রহ করেছেন। ফুলপুর কৃষি বিভাগ থেকেও কিছু বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের রোগবালাই ও অন্যান্য বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছে। ফসল তোলার সময় নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস। বীজ বপনের সময় আগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। ফুলপুরের সিংহেশ্বর, কুটুরাকান্দা, বওলা, রহিমগঞ্জ গ্রামে রাস্তা ও জমির আইলে মাষকলাই চাষ বেশি হচ্ছে। এই ডাল চাষে শ্রমিকের তেমন প্রয়োজন নেই।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাদিয়া ফেরদৌসী জানান, মাষকলাই চাষে কম খরচ হয়। যত্নও কম করতে হয়। এটি লাভজনক ফসল।