
মাছের রাজা ইলিশের জন্য বাংলাদেশের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমাতে চায় ভারত। শুধু তাই নয়, ইলিশ পেতে নদী বা সমুদ্রের সীমিত উৎস কিংবা সারা বছর বর্ষার মৌসুমের দিকেও তাকিয়ে থাকতে চায় না দেশটি। তাই পুকুরের আবদ্ধ জলে ইলিশের পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যবিদরা। দাবি করছেন, উৎপাদনের সঠিক সমীকরণ বের করতে পেরেছেন বলে শিগগিরই সারা বছর হাতের নাগালে মিলবে ইলিশ।
ইলিশের স্বাদ নিতে ভারতবাসীর অধীর অপেক্ষার অবসান ঘটাতে চান ভারতের মৎস্যবিদরা। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী, বাঙালি পশ্চিমবঙ্গের পুকুরে ইলিশ চাষের উদ্যোগ সাড়া ফেলেছে রাজ্যজুড়ে।
আইসিএআর-সেন্ট্রাল ইনল্যান্ড ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট- সিফরি'র তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছে আবদ্ধ জলে ইলিশ মাছের চাষ। মৎস্যবিজ্ঞানীদের দাবি, দীর্ঘদিনের গবেষণায় ইলিশ মাছ উৎপাদনের সঠিক সমীকরণ বের করতে পেরেছেন তারা।
রাজ্যের তিন জায়গায় পরীক্ষামূলক ইলিশ চাষে মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে জু প্ল্যাংকটন। নদী থেকে জাটকা ইলিশ নিয়ে এসে পুকুরে প্রতিপালন করা হচ্ছে, একইসঙ্গে ইলিশের প্রজনন ঘটিয়ে উৎপাদনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যেও নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ।
পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় মৎস্য গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, অনেক ধীরে বড় হয় বলে নদী বা সমুদ্রে প্রাকৃতিকভাবে ইলিশ চাষ সময়সাপেক্ষ। সে তুলনায় পুকুরে চাষকৃত ইলিশের ওজন কিছুটা বেশি, তিন বছরে একেকটি পুকুরের ইলিশের ওজন ৭শ' গ্রাম পর্যন্ত। একে ইলিশ নিয়ে গবেষণায় মাইলফলক বলছেন গবেষকরা।