ঢাকা   সোমবার
১৭ নভেম্বর ২০২৫
২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ধানের বীজতলা তৈরিতে গরু ও মহিষেই ভরসা কৃষকের

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৩৬, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

ধানের বীজতলা তৈরিতে গরু ও মহিষেই ভরসা কৃষকের

আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতিতে অনন্য সংযোজন কলের লাঙল বা পাওয়ার টিলার। উঁচু এলাকার যেসব জমিতে একসময় কেবল আমন আর আউশের আবাদ হতো, পাওয়ার টিলার ও ভূগর্ভের পানির সুবাদে সেসব জমিতেও বোরো আবাদ করা হচ্ছে। তবে ধানের বীজতলার জমি তৈরিতে এখনও গরু ও মহিষেই ভরসা রাখেন কৃষক। 

কৃষকের ভাষ্য, জমির সমতল মাটি চাষ দেওয়ার জন্য কলের লাঙল ব্যবহার করা গেলেও ধানের বীজতলা তৈরির কাজ কলের লাঙল দিয়ে হয় না। কলের লাঙল দিয়ে জমির মাটি ওলটপালট করা হয়। কিন্তু কাদামাটি সমান করার জন্য গরু আর মহিষ দিয়ে মই টানতে হয়। এর কোনো বিকল্প নেই। ধানের বীজতলাগুলো চাষ দেওয়ার পর মই টেনে কাদামাটি সমান করে সেখানে বীজ বপন করা হয়। 

শনিবার হাওর উপজেলা নিকলীর গুরই হাওরে গিয়ে দেখা গেছে, পার্শ্ববর্তী বাঘবাড়ী গ্রামের কৃষক কালাচাঁন এক জোড়া মহিষ দিয়ে বীজতলায় মই দিচ্ছেন। তিনি জানান, কলের লাঙল মাটি চাষ দিয়ে ওলটপালট করে। আর মহিষ দিয়ে মই টেনে তিনি সেই ওলটপালট করা মাটি সমান করছেন। 

পার্শ্ববর্তী গুরই গ্রামের কৃষক কফিল উদ্দিন ও আবদুর রহিম জানান, তারা শুষ্ক জমিতে কলের লাঙলে চাষ দেন। আর কাদা মাটির জমিতে গরু-মহিষের মাধ্যমে মই দিয়ে বীজতলা তৈরি করেন এবং ধানের চারা বপন করেন।

জেলা খামারবাড়ি সূত্রে জানা গেছে, এ বছর নিকলী উপজেলায় ৬২০ দশমিক ২৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করছেন কৃষক। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাদিকুর রহমান বলেন, আগে জমি চাষ আর মই দিতে গবাদি পশুর ওপর কৃষকরা নির্ভরশীল ছিলেন। এখন আবাদি জমি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষির যান্ত্রিকীকরণের ফলে জমি চাষের কাজটা কলের লাঙলে করা হয়। তবে বীজতলা যেহেতু কাদাজলে তৈরি করতে হয়, সেখানে এখনও গবাদি পশু ব্যবহার করতে হয়। সূত্র: সমকাল