
বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানোসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করতে আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত রোজি উইন্টারটন।
সাক্ষাতে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি এবং নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়া নিয়েও মতবিনিময় হয়। খবর বাসসের
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সরকার আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘গত ১৬ বছরে যা হয়েছে, তা নির্বাচনের নামে এক প্রহসন ছিল।’ তিনি জানান, নির্বাচনের পর তিনি তার পূর্বের কাজ ও পেশায় ফিরে যাবেন।
প্রধান উপদেষ্টা ভুয়া তথ্য ও বিভ্রান্তি মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরেন এবং এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, এই বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের সহায়তা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হবে।
বাণিজ্য দূত রোজি উইন্টারটন বাংলাদেশের ব্যবসায়িক নিয়ম-কানুন, কাস্টমস ও রাজস্ব ব্যবস্থায় সাম্প্রতিক সংস্কারের প্রশংসা করেন। তিনি শিক্ষা, বিমান পরিবহন ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি খাতে আরও গভীর সহযোগিতার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্ব এবং দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন।
সাক্ষাতে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশের গবেষণা ও জরিপ জাহাজ এইচএমএস এন্টারপ্রাইজ এবং উপকূলীয় টহল জাহাজ কেনার পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়। জানানো হয়, এইচএমএস এন্টারপ্রাইজ অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলতি বছরের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ ও সিআইএস উইংয়ের মহাপরিচালক মোশারফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।