
এক শ্রেণির প্রতারক অনলাইনে কম দামে ইলিশ সরবরাহের নামে আগাম টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতারণা এড়াতে নিবন্ধনের আওতায় নেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের।
এ জন্য জেলা প্রশাসন বাছাই করে অনলাইনে মাছ ব্যবসায়ীদের তালিকাভুক্ত করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ীর হাতে নিবন্ধনপত্র তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিছুর রহমান জানান, মোট ৪২ জন নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিলেন। তাঁদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে সাতজনকে তালিকাভুক্ত করে অনলাইনে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ বিক্রির জন্য নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. এরশাদ উদ্দিন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, প্রেস ক্লাব সভাপতি রহিম বাদশা প্রমুখ।
এ ছাড়া সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী এবং মাছ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইলিশ বিক্রির নামে অনলাইনে এক শ্রেণির মানুষ ক্রেতাদের প্রতারিত করছিল। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন প্রকৃত মাছ ব্যবসায়ী অর্থাৎ যাঁরা অনলাইন মাছ বিক্রি করেন, তাঁদের নিবন্ধনের আওতায় নেয়। এতে করে আগামী দিনে দূর-দূরান্তের ইলিশ ক্রেতারা প্রতারণা থেকে পরিত্রাণ পাবেন। পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অনেকেই আগাম টাকা প্রদান করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
এরই মধ্যে এমন বেশ কিছু প্রতারক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছে। আশা করছি, এবার নতুন নিয়ম চালু হওয়ায় সেই প্রতারণা বন্ধ হবে।’
এদিকে উপস্থিত বেশ কয়েকজন অনলাইন মাছ বিক্রেতা জানান, এ উদ্যোগের কারণে তাঁরা স্বস্তি পেয়েছেন। কারণ অসাধু লোকজন মাছ না দিয়েই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।