ঢাকা   বৃহস্পতিবার
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২ আশ্বিন ১৪৩২, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প মুরগি: কেন এই জাতটি ডিম ও মাংসের জন্য সেরা?

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩:০৫, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প মুরগি: কেন এই জাতটি ডিম ও মাংসের জন্য সেরা?

যারা অল্প পুঁজিতে লাভজনক মুরগি পালন শুরু করতে চান, তাদের জন্য ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প মুরগি হতে পারে একটি দারুণ পছন্দ। এই জাতটি তার উচ্চ ডিম উৎপাদন ক্ষমতা, দ্রুত বৃদ্ধি এবং অসাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত।

চলুন জেনে নিই এই জাতের কিছু বিশেষ সুবিধা, যা একে অন্যান্য জাত থেকে আলাদা করে তোলে।

১. দ্রুত ও দীর্ঘস্থায়ী ডিম উৎপাদন
ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প মুরগি খুব অল্প বয়সেই ডিম দেওয়া শুরু করে। সাধারণত, ৪ থেকে ৫ মাস বয়সের মধ্যেই এরা ডিম উৎপাদন শুরু করে। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো, এরা একটানা দীর্ঘ সময় ধরে ডিম দিয়ে যেতে পারে, যা খামারিদের জন্য একটি বড় সুবিধা। এক বছরে এরা প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০টি পর্যন্ত ডিম দিতে সক্ষম।

২. সর্বোচ্চ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া
এই জাতের মুরগির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এটি অন্যান্য মুরগির জাতের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। যেকোনো রোগ বা প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে এরা সহজে লড়াই করতে পারে। ফলে ওষুধ ও চিকিৎসার খরচ অনেক কমে আসে। এরা প্রায় সব ধরনের পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে, যা বাংলাদেশের আবহাওয়ার জন্য খুবই উপযোগী।

৩. শারীরিক গঠন ও শান্ত স্বভাব
ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প একটি দ্বৈত-উদ্দেশ্যমূলক জাত। এরা শুধু ডিমের জন্যই নয়, এদের মাংসের জন্যও পালন করা হয়। এরা দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি পায় এবং এদের মাংসের মানও খুবই ভালো। এছাড়াও, এদের স্বভাব খুবই শান্ত। এরা খুব সহজেই মানুষের সাথে মিশে যায় এবং পরিচর্যা করা সহজ।

৪. অল্প খরচে পালন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় এবং যেকোনো পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারায় এদের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অনেক কম। বাড়ির আশেপাশে ছেড়ে দিলে এরা নিজেরাই খাবার খুঁজে নেয়, যা বাণিজ্যিক খাবারের খরচ কমিয়ে আনে।

সব মিলিয়ে, ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প মুরগি ডিম এবং মাংস—উভয় ক্ষেত্রেই আপনাকে ভালো ফলন দেবে। যারা নতুন করে খামার শুরু করতে চান, তাদের জন্য এই জাতটি একটি আদর্শ পছন্দ।

ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প মুরগি পালন সম্পর্কে আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন।

এমন আরও গুরুত্বপূর্ণ কৃষি ও প্রাণীসম্পদ বিষয়ক প্রতিবেদন পেতে আমাদের পেজটি লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এবং ফলো করে সাথেই থাকুন।