ঢাকা   মঙ্গলবার
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩১ ভাদ্র ১৪৩২, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

খামারে বিষ দিয়ে ৩ হাজার হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:০০, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খামারে বিষ দিয়ে ৩ হাজার হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বিষ দিয়ে তিন হাজার হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের টেকানগর গ্রামসংলগ্ন হাওরের পতিত চরে এ ঘটনা ঘটে। শামসু মিয়ার ওই খামারে বাচ্চাসহ প্রায় পাঁচ হাজার হাঁস ছিল। টেকানগর গ্রামের শামসু মিয়া ২৫ লাখ টাকায় এ ব্যবসা শুরু করেন। প্রায় সব টাকাই ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নেওয়া। এক দশক ধরে তিনি হাঁসের খামার চালাচ্ছেন।

গতকাল শামসু মিয়া বলেন, বিষ দেওয়ার কারণে রাত থেকে হাঁস মরতে শুরু করছে, এখনও মরছে। আমি এখন কী করব? ঋণের টাকা শোধ করব কীভাবে? কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। খামারের কর্মী আব্দুর রহমান জানান, প্রতিদিনের মতো হাঁসগুলোকে খাবার দিয়ে তিনি বাড়ি গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন বেড়া দেওয়া জাল উল্টানো, চারদিকে বিষের গন্ধ। সে সময় তিনি একজনকে দৌড়ে পালাতে দেখেন।

নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুতুল রানী বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমরা খামারিকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সব সহযোগিতা করব। নাসিরনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ

কর্মকর্তা ডা. শুভজিৎ পাল বলেন, বিষ প্রয়োগে হাঁস মারা যাওয়ার বিষয়ে আমরা এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত সব সহযোগিতা দেব। জলমহালে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ লুট নড়াইল সদরের তপনবাগ গ্রামের একটি জলাশয়ে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ লুটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সকালে ওই জলাশয়ে রুই ও কার্পজাতীয় মাছ ভেসে উঠতে দেখা যায়।

জানা গেছে, তপনবাগ গ্রামের আট একরের বেশি জমির ওই জলাশয় সরকারি সম্পত্তি। সদর উপজেলা প্রশাসন এ বছর জলাশয়টি মাছ ব্যবসায়ী পঙ্কজ কুমার রায়কে ইজারা দেয়। তবে ওই গ্রামের ইউসুফ মোল্যার দাবি জলাশয়টি তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি। এ নিয়ে বহু বছর ধরে মামলা চলছে। বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন। পঙ্কজ রায়ের বাড়ি দূরে হওয়ায় তাঁর পক্ষে তপনভাগ গ্রামের ইব্রাহিম মোল্যা জলাশয়টি দেখাশোনা করেন। 

পঙ্কজ ও ইব্রাহিম বলেন, কিছুদিন ধরেই ইউসুফ মোল্যা জলাশয়টি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। গতকাল ভোরে ইউসুফ পক্ষের লোকজনই জলাশয়ে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে। এরপর জাল টেনে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ তারা নিয়ে যায়। আমরা ভয়ে তাদের বাধাও দিতে পারিনি। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি।

মামলা চলার তথ্য জানিয়ে ইউসুফ মোল্যা বলেন, বর্তমানে আমরা জলাশয়ের দখলে রয়েছি। মাছ আমরা ছেড়েছি, আমরাই মেরেছি। ইব্রাহীম ও পংকজ যে দাবি করছেন, তা মিথ্যা। শেখহাটি পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা কাউকে পাইনি। অভিযোগকারীদের থানায় বা আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। 

সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, যারা জলমহালটি দাবি করছেন, তাদের পক্ষে আদালতের কোনো আদেশ নেই। এটি সরকারি খাস খতিয়ানের আওতায়ভুক্ত এবং নিয়ম অনুযায়ী ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইজারাদাররা এটি ভোগদখল করবে। সেখান থেকে অন্য কেউ মাছ ধরে নেওয়া বা দখল করে নিয়ে যেতে পারবেন না। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সর্বশেষ