ঢাকা   মঙ্গলবার
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩১ ভাদ্র ১৪৩২, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য

সার আমদানির এক টেন্ডারে সরকারের সাশ্রয় ২৩৪ কোটি টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:০১, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সার আমদানির এক টেন্ডারে সরকারের সাশ্রয় ২৩৪ কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরে সার আমদানির প্রথম কার্যাদেশেই সরকারের সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ২৩৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা। কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ আগস্ট ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দিয়ে ৩০ হাজার টন টিএসপি, ২ লাখ ৫৫ হাজার টন ডিএপি এবং ৯০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।

এরপর ৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ধাপে আরও ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০ হাজার টন টিএসপি এবং ১ লাখ ২০ হাজার টন ডিএপি আমদানির কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এই পুরো প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সরকারের সাশ্রয় হয়েছে ২৩৩ কোটি ৬১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের দাবি, কোনো একটি সারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দেশের জন্য কেবল একটি নির্ধারিত দরেই আমদানি কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে, ভিন্ন ভিন্ন দরে নয়। এতে সরকারের অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফার সুযোগও কমে গেছে।

সার আমদানির দর বিশ্বব্যাপী প্রচারিত দুটি আন্তর্জাতিক বুলেটিন—আরগুস ও ফার্টিকন–এ প্রকাশিত সর্বশেষ মূল্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন ধরেই এ দুটি বুলেটিনের দামকে মানদণ্ড ধরে আসছে। চলতি বছরের টেন্ডারে কিছু আমদানিকারক সরকারি দপ্তরের প্রাক্কলিত মূল্যের চেয়ে টনপ্রতি ২৫ থেকে ১৫০ মার্কিন ডলার বেশি দরে সার সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছিল। মন্ত্রণালয় সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করে প্রাক্কলিত বা সর্বনিম্ন দরে কার্যাদেশ দেয়।

রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের (জি-টু-জি) পাশাপাশি বেসরকারি খাতের আমদানিকারকরাও সার আমদানিতে যুক্ত রয়েছে। ২০১৫ সালের নীতিমালা অনুযায়ী, বেসরকারি পর্যায়ে সর্বনিম্ন দর প্রদানকারীদের ভর্তুকির আওতায় আনা হয়। সেই নিয়ম মেনে এবার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।

কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নির্দিষ্ট সারের জন্য নির্দিষ্ট দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন দর প্রদানকারীদের কাছ থেকেই সার কেনা হবে। এর ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হয়েছে।

সর্বশেষ