সকাল থেকে সন্ধ্যা। আকাশে দেখা মেলেনি সূর্যের। বরং সন্ধ্যা থেকে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ আরো কুয়াশাচ্ছন্ন দেখা গেছে। বছরের শেষ দুই দিনেও থাকছে তীব্র শীত।
নতুন বছরের শুরুতেই কুয়াশা কেটে মিলতে পারে নতুন সূর্যের দেখা। নতুন বছরের শুরুতে শীতের অনুভূতিও কমতে পারে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা জানানো হয়। অধিদপ্তর বলছে, আগামী মঙ্গল ও বুধবারও এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আগামীকালও পরিস্থিতি একই রকম থাকতে পারে। পরদিনও বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে রোদের দেখা মিলতে পারে। ২ জানুয়ারি সামগ্রকিভাবে প্রায় সারা দেশেই পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এতে তখন তীব্র শীত থেকে মানুষ খানিকটা নিস্তার পেতে পারে। ৫ জানুয়ারির পর আবার তাপমাত্রা কমতে পারে। তখন দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে আবার শৈত্যপ্রবাহও ফিরে আসতে পারে।’
দেশে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও তীব্র শীত অনুভূত হওয়ার কারণ সম্পর্কে ওমর ফারুক বলেন, ‘কুয়াশার কারণে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পাওয়া যাচ্ছে না। শীতের সময় দিনের তাপমাত্রা কম থাকলে ভোগান্তি বাড়ে।
শীতকালে দিনের তাপমাত্রা মোটামুটি ১৭ ডিগ্রি বা এর ওপরে থাকলে কিছুটা আরামদায়ক অনুভূতি পাওয়া যায়। ১৭ ডিগ্রির নিচে নামলেই শীতের অনুভূতি তীব্র হতে শুরু করে। রবিবার চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু অঞ্চল ছাড়া দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলেই দিনের তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি নিচে ছিল।’
এদিকে আগের দিনের মতো রবিবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় কিশোরগঞ্জের নিকলীতে, ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ওপরেই ছিল। তবে প্রকৃত তাপমাত্রার তুলনায় দেশের অনেক অঞ্চলেই শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ৫ ডিগ্রি বা এর নিচে নামলেই শীত বেশি অনুভূত হয়।























