ঢাকা   রোববার
২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
১৩ পৌষ ১৪৩২, ০৮ রজব ১৪৪৭

পেঁয়াজ-আলুর পর কমতির দিকে মসুর ডাল ও ছোলা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:১১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

পেঁয়াজ-আলুর পর কমতির দিকে মসুর ডাল ও ছোলা

পেঁয়াজ-আলুর পর এবার কিছুটা কমতির দিকে মসুর ডাল ও ছোলার বাজার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে ডালজাতীয় খাদ্যশস্য দুটির দাম। গত সপ্তাহের মতো স্থির দেখা গেছে ডিম ও সবজির বাজার। এতে কিছুটা স্বস্তি মিলছে ক্রেতাদের। তারা বলছেন, রমজানের বাজার স্বাভাবিক রাখতে এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সরকারের তদারকি ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে সরবরাহ বাড়ার কারণে কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম কমছে। সামনের দিনগুলোতে এই ধারা অবাহত থাকলে দাম বাড়ার আশঙ্কা কম।

গতকাল বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী ও আগারগাঁও কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আমদানি করা মোটা দানার মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা দরে। সপ্তাহখানেক আগে দাম ছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। একইভাবে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমেছে ছোলার দাম। প্রতি কেজি ছোলা কেনা যাচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে। সপ্তাহ দুয়েক আগে ছোলার কেজি ছিল কমবেশি ১১০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের ইয়াছিন স্টোরের স্বত্বাধিকারী মনোয়ার হোসেন বলেন, পাঁচ-ছয় দিন ধরে ডাল আর ছোলার দর কমেছে। বাজারে জোগান বেশি থাকলে রমজানের আগে দাম বাড়বে না। 

বড় পতন দেখা গেছে আলুর বাজারে। সরবরাহ বাড়ার কারণে নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে দর ছিল কমবেশি ৩০ টাকা। এতে পুরোনো আলুর ক্রেতা কমে গেছে। ফলে এই আলুর কেজি নেমেছে ১৫ থেকে ১৮ টাকায়।

আরও বেড়েছে শীতের সবজির সরবরাহ। ফলে গত সপ্তাহের তুলনায় কয়েকটির কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। খুচরা বাজারে বেশ কয়েকটি সবজির দর ৫০ টাকার কমে কেনা যাচ্ছে। মানভেদে শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়, গেল সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৬০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা কমে বেগুনের দর নেমেছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। আরও কমে মাঝারি আকারের ফুল ও বাধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। গত সপ্তাহে দাম ছিল প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। গত সপ্তাহে বেড়ে যাওয়া কাঁচামরিচের দাম চলতি সপ্তাহে কমেছে। 

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল কেনা গেছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে।

এদিকে মাস দুয়েক আলোচনায় থাকা পেঁয়াজের বাজার অনেকটা স্থির হয়ে আসছে। বড় আকারের ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়, যা গেল সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। সপ্তাহ ব্যবধানে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে।

ডিম ও মুরগির বাজার আগের মতোই। প্রতি ডজন ফার্মের বাদামি রঙের ডিম ১১০ থেকে ১১৫, আর সাদা ডিম ১০০ থেকে ১০৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ব্রয়লারের কেজি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা, আর সোনালি জাতের মুরগির কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা।

গতকাল আগারগাঁও কাঁচাবাজার থেকে ২০ টাকা দরে নতুন আলু কেনেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাহাব উদ্দিন সাবু। তিনি সমকালকে বলেন, এখন তো মোটামুটি জিনিসপত্রের দাম কিছুটা কম। কিন্তু রমজানের আগে কী হয় সেটা নিয়ে চিন্তা আছে। দাম নাগালে রাখাতে বাজারে নজরদারি বাড়াতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।