একটি ফুলকপির উৎপাদন খরচ ১০ থেকে ১২ টাকার বেশি কিন্তু কৃষককে বিক্রয় করতে হচ্ছে ৫ থেকে ৬ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ গড়ে প্রতিটার দাম ৯ টাকা থেকে ১০ টাকার মধ্যে।
সুনামগঞ্জের সবজির বাজার মূল্যে এমন ধস ছিল। ফুলকপিসহ অন্যান্য সবজির দর গ্রামীণ এলাকায় অস্বাভাবিকভাবে কমেছে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বাজারগুলোতে সবজির দামও অনেক কমেছে। এতে ভোক্তার মধ্যে স্বস্তি দেখা গেলেও কৃষকদের মধ্যে হতাশার ছাপ লক্ষ্য করা গেছে।
কৃষকরা বলেন, জমিতে উৎপাদিত সবজি বাজারে নিয়ে এসে বিপদে আছি, পাইকার নেই। সবজি চাষে অনেক খরচ করতে হয়েছে, কষ্ট তো আছেই। সার, বীজ, কীটনাশকের খরচ বেড়েছে অনেক। লাভ তো দূরের কথা, বিক্রি করে খরচের টাকাও উঠছে না। ঋণ করে এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সার, বীজসহ কীটনাশক ওষুধ বাকিতে কিনেছেন অনেকেই। এখন ফসল উৎপাদন করলেও ঋণ এবং বকেয়া টাকা পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
তবে কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার মৌসুমের শুরুতে শীতকালীন সবজির ফলন ও দাম দুটিই ভালো পেয়েছেন কৃষকরা। এখন কিছুটা কমলেও উৎপাদন খরচ
উঠে যাবে।
বাজারে এখন সস্তায় মিলছে সবজি। গত শনিবার থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সুনামগঞ্জ শহরের পাইকারি সবজি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে। শিম প্রকারভেদে ১৫ থেকে ২৫ টাকা কেজি, আলু ১৫ থেকে ২০, বেগুন ২৯ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজি নিয়ে এসেছেন সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের কৃষক ইসমাইল হেসেন। তিনি চার কেয়ার জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, ধনিয়া পাতা, আলু চাষ করেছেন। তিনি বলেন, দুই কেয়ার জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। ফলন ভালো হয়েছে কিন্তু দামটা একেবারে কম। ১০ থেকে ১২ মণ ফুলকপি নিয়ে বাজারে এসেছেন।
জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আহমদ আসিফুর রব বলেন, কৃষকরা কেন ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না; দামটা হঠাৎ করে কেন এতটা কমেছে তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কোনো ধরনের সিন্ডিকেট চক্র জড়িত রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হবে।























