ঢাকা   মঙ্গলবার
১৪ অক্টোবর ২০২৫
২৮ আশ্বিন ১৪৩২, ২১ রবিউস সানি ১৪৪৭

গারো পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতির আনাগোনা বেড়েছে, উদ্বেগে কৃষক

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:১২, ৪ অক্টোবর ২০২৫

গারো পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতির আনাগোনা বেড়েছে, উদ্বেগে কৃষক

নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতির আনাগোনা বেড়েছে। এতে চলতি মৌসুমের আমন ধানের আবাদ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন কৃষক। তারা ফসল রক্ষায় কয়েক দিন ধরে মশাল জ্বালিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিনে ৪০-৪৫টি বন্যহাতি পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম সমশ্চূড়ার ঝোরাপাড় গ্রামে ১৪-১৫ জন কৃষকের প্রায় ৫ একর জমির ধান খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করেছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে ওই এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে খাদ্যের সন্ধানে হাতির পাল লোকালয়ে নেমে আসে। এ সময় পশ্চিম সমশ্চূড়া গ্রামের কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, সাইদ মিয়া, শামসুন্নাহার, জুলেখা বেগম, আবু বকরসহ অন্তত ১৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হাতি পায়ে পিষ্ট করার কারণে থোড় ধানগাছ মাটিতে চাপা পড়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘গভীর রাতে হাতির পাল এসে আমার প্রায় দুই একর আমন ধানের ক্ষেত নষ্ট করেছে। প্রতি মৌসুমেই হাতির আক্রমণ হয়। আমরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি।’

কৃষাণী জুলেখা বেগম বলেন, ‘ঋণ ধার করে পৌনে দুই একর জমি আবাদ করেছি। এখন সব ধান শেষ। তিন সন্তান নিয়ে আমি কীভাবে চলব? সরকার যদি সাহায্য করে তবেই বাঁচতে পারব।’

ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, দিনের বেলায় প্রাণীগুলো গহিন অরণ্যে থাকে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে নেমে আসে ধানক্ষেতে। কৃষক ফসল রক্ষায় মশাল জ্বালিয়ে ও শব্দ করে রাত পার করছেন। এরপরও থামছে না হাতির তাণ্ডব।

মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলীর ভাষ্য, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ধানক্ষেত পরিদর্শন করে তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। বন বিভাগের কাছে আবেদনসাপেক্ষে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন তারা।