
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) জানিয়েছে, তিলের ভালো ফলনের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় জেলার সাতটি উপজেলায় চাষিদের মধ্যে তিল চাষে আগ্রহ বেড়েছে। কৃষকের আগ্রহে নির্ধারিত লক্ষ্যের চেয়ে বেশি জমিতে তিল চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে জমিতে তিলের পর্যাপ্ত ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডিএই সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে ৩,৯৭১ হেক্টর জমিতে তিল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং তিল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩,৮২৬ টন। তবে জেলায় মোট ৪,০৯৭ হেক্টর জমিতে তিল চাষ করা হয়েছে, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২৬ হেক্টর বেশি।
ডিএই মানিকগঞ্জের উপপরিচালক ড. রোবিয়া নূর আহমেদ বলেন, গত কয়েক বছর ধরে তিলের ভালো উৎপাদন এবং এর ন্যায্য মূল্য কৃষকদের তিল চাষে উৎসাহিত করেছে। উপরন্তু এ বছর জেলায় অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় তিলের চাষ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
তিনি বলেন, জেলার হরিরামপুর, শিবালয় এবং দৌলতপুর উপজেলার বালুকাময় চরাঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে অনুর্বর ও অকর্ষিত ছিল। সেই জমিগুলির বেশিরভাগই এখন তিল চাষের আওতায় আনা হচ্ছে।
হরিরামপুর এবং দৌলতপুর উপজেলার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনুর্বর ও পতিত জমিতে তিলের ফলন ভাল হয়। এর চাষ পদ্ধতি ও ফসল তোলাও খুব সহজ। এজন্যই চরাঞ্চলের কৃষকরা তিল চাষ করতে আগ্রহী হয়েছে।
ড. রোবিয়া নূর বলেন, জেলার জমি, বিশেষ করে হরিরামপুর, শিবালয় এবং দৌলতপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল তিল চাষের জন্য উপযুক্ত এবং কৃষকরা তাদের উৎপাদনের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন। এই কারণে জেলায় তিলের চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।