ঢাকা   বৃহস্পতিবার
৩১ জুলাই ২০২৫
১৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৪ সফর ১৪৪৭

বন বিভাগের নার্সারিতে নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩:৩৫, ১০ জুলাই ২০২৫

বন বিভাগের নার্সারিতে নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা

গত ১৫ মে সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা তৈরি ও রোপণ এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এরপরও খোদ সরকারি প্রতিষ্ঠানে সারি সারি করে বেডে সাজিয়ে রাখা হয়েছে আগ্রাসী আকাশমনির চারা। 

এ চিত্র দেখা গেছে নাটোরের লালপুর উপজেলা বন বিভাগের নার্সারিতে। পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্যর জন্য ক্ষতি জেনেও উপজেলা পরিষদ চত্বরের ভেতরে থাকা নার্সারিটিতে নিষিদ্ধ প্রজাতির গাছের চারা থাকলেও তা ধ্বংসের কোনো উদ্যোগ নেই। 

প্রশাসন বলছে, বন বিভাগ ও কৃষি বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। বন বিভাগ বলছে, গাছগুলো গত বছরের তৈরি। বর্তমানে বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। গাছগুলো কী করা হবে তা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত পায়নি তারা। সিদ্ধান্ত পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বন বিভাগের নার্সারিতে এ ধরনের চারা রোপণ ও সযত্নে রাখার কোনো সুযোগ নেই। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে অবশ্যই সেটি দণ্ডনীয় অপরাধ। পরিবেশ রক্ষায় এ বিষয়ে এখনই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জনিয়েছেন পরিবেশকর্মী চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। 

সরেজমিন লালপুর উপজেলা বন বিভাগের সরকারি নার্সারি ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি এ নার্সারিতে ১৬ হাজার বনজ, ফলদ ও ঔষধি জাতের চারা প্রস্তুত করা আছে। এর মধ্যে ৮৫০০টি রয়েছে আকাশমণি গাছের চারা। 

উপজেলা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এ বি এম আব্দুল্লা বলেন, ‘আকাশমণির চারা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে তবে বিক্রয় বন্ধ আছে। এই গাছগুলো গত বছরের তৈরি। প্রতিটি গাছ ৯ টাকা করে দাম। এগুলো তো আমি চাইলেই ধ্বংস করতে পারি না। গাছগুলো কী করা হবে এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত পাইনি। পেলেই ধ্বংস করা হবে।’ 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, ‘কোনো নার্সারিতে আগ্রাসী প্রজাতির ইউক্যালিপটাস এবং আকাশমণি জাতের গাছের চারা পাওয়ায় গেলে প্রশাসনের সহযোগিতায় ধ্বংস করা হবে।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ‘ইউক্যালিপটাস এবং আকাশমণি গাছের চারা রোপণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরে এই ধরনের গাছের চারা রোপণ ও সযত্নে রাখার কোনো সুযোগ নেই। সরকারি নার্সারিতে এ গাছ বা চারা থাকলে তা ধ্বংসের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সূত্র: সমকাল

সর্বশেষ