ঢাকা   মঙ্গলবার
১৪ অক্টোবর ২০২৫
২৮ আশ্বিন ১৪৩২, ২১ রবিউস সানি ১৪৪৭

সাড়ে তিন ফুট উচ্চতায় ছাড়া হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:২৩, ৮ আগস্ট ২০২৫

সাড়ে তিন ফুট উচ্চতায় ছাড়া হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে বিপৎসীমায় পৌঁছেছে। এ কারণে বাঁধের ১৬টি জলকপাট দিয়ে পানি ছাড়া হয়েছে। পঞ্চম দফায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৬টা থেকে ৪১ ইঞ্চি (সাড়ে তিন ফুট) করে পানি ছাড়া হচ্ছে। এর ফলে প্রতি সেকেন্ডে ৬৮ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ছে। 

এর আগে সোমবার রাতে প্রথম দফায় কাপ্তাই বাঁধে ৬ ইঞ্চি করে পানি ছাড়া হয়। এরপর বুধবার রাত থেকে বাঁধের ১৬টি জলকাপট দিয়ে অব্যাহতভাবে পানি ছাড়া হচ্ছে। কাপ্তাই হ্রদে ১০৮ ফুট উচ্চতা পানির বিপৎসীমা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। এ হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট পর্যন্ত।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র জানায়, কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা রয়েছে ১০৮ দশমিক ৮৩ ফুট মেইন সি লেভেল (এমএসএল)। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে হ্রদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছে গিয়েছিল। বাঁধের ঝুকি কমাতে ও হ্রদ তীরবর্তী এলাকা যাতে প্লাবিত না হয়, সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে সোমবার রাত ১২টার পর থেকে বাঁধের স্পিলওয়ের ১৬টি জলকাপট দিয়ে ৬ ইঞ্চি করে পানি ছাড়া হয়। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় হ্রদে পানির উচ্চতা আরও বেড়েছে। তাই পঞ্চম দফায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৬টা থেকে দফায় ৪১ ইঞ্চি করে পানি ছাড়া হচ্ছে। বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়ায় কর্ণফুলীর নদীর পানি বেড়েছে। চন্দ্রঘোনা-রাইখালী ফেরি চলাচল বুধবার সকাল থেকে বন্ধ। রাঙামাটি-বান্দরবান-রাজস্থলী সড়কেও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান জানান, ভারী বৃষ্টিপাত হলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেশি বাড়ে। এ কারণে পানি ছাড়ার পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ানো প্রয়োজন হতে পারে। 

এদিকে পাহাড়ি ঢলের কারণে কাচালং নদীর পানি বেড়েছে। এতে বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরে বেশ কিছু নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো উপজেলা সদরের বটতলী-উগলছড়ি, সদর-বাবুপাড়া, সদর দুরছড়ি ও বায়তুল সড়ক ডুবে রয়েছে। ওই সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তী শিরিন আক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেশি কিছু এলাকার পানি সরে গেছে। চার থেকে পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত দেড় শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আশা করছি, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল না হলে পানি সরে যাবে।