
সরকারিভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বাক্ষর করেছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর্যন্ত সময়কালে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, ভিন্নমতের নাগরিক ও সাধারণ জনগণের উপর গুম, খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে।
এছাড়া ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন দমন করতে গিয়ে দলটি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে গণহত্যা, আগুনে পুড়িয়ে হত্যা, বেআইনি আটক, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ ভয়াবহ সহিংসতার অভিযোগ ওঠে, যা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও দেশের বিভিন্ন আদালতে দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এসব মামলায় বিচার বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে দলটির মাধ্যমে বিভিন্ন অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে।
সরকার মনে করে, দলটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো কাজ করে চলেছে, যা দেশের সংহতি, সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সন্ত্রাস বিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮(১) অনুযায়ী দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা প্রয়োজনীয় ও যুক্তিসঙ্গত।
যা যা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে:
-আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের সব ধরনের দলীয় ও সাংগঠনিক কার্যক্রম।
-সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, টিকটক) দলটির যে কোনো ধরনের প্রচার, লাইভ অনুষ্ঠান, পোস্ট, বিবৃতি, ভিডিও ইত্যাদি।
-দলীয় মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন ও অন্যান্য গণসংযোগমূলক কর্মসূচি।
-প্রচারপত্র, লিফলেট, ব্যানার ও পোস্টার ইত্যাদির প্রকাশ ও বিতরণ।
এগ্রি২৪.টিভির বিদেশ, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা সিভি ও নিউজ পাঠান agri24.tv@gmail.com এই ইমেইলে