সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের পর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনি বাধা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আদালতের এই রায়ের ফলে সরকারি চাকুরেদের রাজনীতিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে তিন বছরের অপেক্ষার সময়সীমা অপরিবর্তিত থাকছে।
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রদান করেন।
আদালত এই রায়ের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন যে, কোনো সামরিক বা বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তা অবসরে যাওয়ার ৩ বছর পার না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
এর আগে, এই বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে চারটি পৃথক রিট আবেদন করা হয়েছিল। রিট আবেদনকারীদের প্রধান যুক্তি ছিল, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা একটি মৌলিক সাংবিধানিক অধিকার। এছাড়া ৩ বছরের এই নিষেধাজ্ঞা সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ (আইনের দৃষ্টিতে সমতা) ও সমঅধিকারের মূলনীতির পরিপন্থী।
গত ২৯ নভেম্বর উভয় পক্ষের শুনানি শেষ হওয়ার পর আদালত রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন। আজ চূড়ান্ত রায়ে আদালত রিট আবেদনগুলো খারিজ করে দেন। এর ফলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশ্লিষ্ট ধারাটি বৈধ হিসেবে গণ্য হলো এবং সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৩ বছরের 'কুলিং অফ পিরিয়ড' বাধ্যতামূলক রইল।























