ঢাকা   মঙ্গলবার
২৮ অক্টোবর ২০২৫
১২ কার্তিক ১৪৩২, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

বিলুপ্তি ঠেকাতে লাঠিটিলায় প্রয়োজন পুরুষ হাতি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৫১, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

বিলুপ্তি ঠেকাতে লাঠিটিলায় প্রয়োজন পুরুষ হাতি

সিলেট বিভাগের একমাত্র বন, যেখানে এখনো টিকে আছে তিনটি বন্য মাদি হাতি। মৌলভীবাজারের জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার এক প্রান্তজুড়ে পাথারিয়া হিলস রিজার্ভ ফরেস্ট। এর অধীনে জুড়ীর লাঠিটিলা বন। এই লাঠিটিলায় একসময় বেশ কয়েকটি হাতি ছিল।

প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে এই বনে টিকে আছে এখনো তিনটি বন্যহাতি। বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা শেষ তিনটি মাদি হাতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য কাজ করছে বন বিভাগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বনে পুরুষ হাতি নেই। ফলে হাতির বংশবৃদ্ধি হচ্ছে না।

আর বংশবৃদ্ধি না হলে এই বন থেকে হাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এই বনে পুরুষ হাতির ব্যবস্থা করা গেলে বন্যহাতি বিলুপ্তি থেকে রক্ষা পাবে। গাজীপুর সাফারি পার্ক বা দেশের অন্য কোনো স্থান থেকে পুরুষ হাতি স্থানান্তরপূর্বক পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বিশেষায়িত কারিগরি কমিটি মৌলভীবাজারের জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার পাথারিয়া হিলস রিজার্ভ ফরেস্টের লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনাঞ্চল পরিদর্শন করেছে।

প্রধান বন সংরক্ষকের কার্যালয় থেকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আওতায় গঠিত এই কমিটি গত ৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর তিন দিনব্যাপী এই বনাঞ্চল পরিদর্শন করে। কালেরকণ্ঠ

এ সময় লাঠিটিলায় হাতি পুনর্বাসনের উপযোগী, বনাঞ্চলের অবকাঠামো, খাদ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার সম্ভাবনা যাচাই করা হয়। পরিদর্শন করে লাঠিটিলায় বন জাগিরদারদের সঙ্গে বন্যহাতি নিয়ে মতবিনিময়সভায় বক্তব্য দেন দুবাই সাফারি পার্কের সাবেক প্রিন্সিপাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান। বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লাঠিটিলা বন বিটের অধীনে পাঁচ হাজার ৬৩১ হেক্টর বনভূমি রয়েছে। মৌলভীবাজারের ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে সিলেট বন বিভাগের জুড়ী ফরেস্ট রেঞ্জের লাঠিটিলা পাথারিয়া হিলস রিজার্ভ ফরেস্টের অংশ। ২০১৫ সালের সর্বশেষ পরিমাপ অনুযায়ী বর্তমানে সংরক্ষিত বনের আয়তন ৮০ বর্গকিলোমিটার।

এর মধ্যে লাঠিটিলার আয়তন ২০ বর্গকিলোমিটার। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের (মৌলভীবাজার) বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবুল কালাম শনিবার বিকেলে মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. আলী রেজা খানের নেতৃত্বে একটি বিশেষায়িত কমিটি লাঠিটিলা বনে হাতি রক্ষায় কাজ করছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খান জানান, লাঠিটিলার হাতিগুলো ভালোই আছে। সমস্যা একটাই, এই দলে পুরুষ হাতি নেই। পুরুষ হাতি না থাকলে তাদের স্বাভাবিক প্রজনন হবে না। ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাবে হাতিগুলো।

সর্বশেষ