ঢাকা   বৃহস্পতিবার
১৫ মে ২০২৫
৩১ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ জ্বিলকদ ১৪৪৬

মহাজনের দাদনের কাছে জিম্মি জেলেরা,হচ্ছেনা ভাগ্যের পরিবর্তন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮:১২, ১৪ মে ২০২৫

মহাজনের দাদনের কাছে জিম্মি জেলেরা,হচ্ছেনা ভাগ্যের পরিবর্তন

পটুয়াখালী উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ, কালাইয়া, কেশবপুর, নাজিপুর, বগা, ধুলিয়া, কালিশুরী, কাছিপাড়া ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার জেলে নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। মাছ ধরা ও বিক্রি করাই তাদের একমাত্র উপার্জনের পথ। কয়েক বছর ধরে তেঁতুলিয়া নদীতে জাটকা নিধন বন্ধ ও মা ইলিশ রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় নদীতে ইলিশ বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু দাদনদারদের কারণে জেলেদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। মহাজনের কাছে ইলিশের দৈনিক বাজার মূল্যের থেকে কম মূল্যে ইলিশ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন জেলেরা। একদিকে জেলেদের দাম কম দেওয়া হচ্ছে অন্য দিকে ওজনে প্রতি কেজিতে ১শ গ্রাম করে কম দেওয়া হচ্ছে।

জেলেরা জানিয়েছেন, মহাজনদের কাছে দাদনের জালে তারা বাঁধা পরে গিয়েছেন। ফলে ইলিশের দাম বাড়লেও মহাজনদের বেঁধে দেওয়া দামেই তাদের বিক্রি করতে হচ্ছে। অল্প সংখ্যক জেলের নিজস্ব ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ট্রলার, জাল থাকলেও বাকিরা মহাজনদের কাছ থেকে নৌকা ও ট্রলার ভাড়া অথবা টাকা নিয়ে নৌকা-ট্রলার তৈরি করে নদীতে মাছ শিকার করতে যায়। এসব জেলেরা মহাজনদের দাদনের জালে জিম্মি হয়ে পড়ছেন।

জেলে বেল্লাল বেপাড়ি জানান, বছরের পর বছর ধরে তারা দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংক জেলেদের কম সুদে ঋণ দিলে তারা আর দাদন ব্যবসায়ীদের দ্বারস্থ হতেন না। ব্যাংকের ঋণ না পেয়ে মহাজনের কাছ থেকে দাদনে টাকা নিতে বাধ্য হন তারা। এ ছাড়া জাল, নৌকাও নিতে হয় মহাজনের কাছ থেকে। অনেক সময় নদীতে বেশি মাছ ধরা পরলে এবং বাজারে মাছের দাম চড়া থাকলেও জেলেদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। চড়ওয়াডেল এলাকার বাদশা মাঝি বলেন, বাজারে এক কেজি সাইজের ইলিশের দাম ২ হাজার থেকে ২২শ টাকা হলেও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে হয় ১৬শ টাকা থেকে ১৮শ টাকা।

উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা বলেন, দাদন চক্রটি দীর্ঘ বছরের। অভাবের কারনেই জেলেরা দাদন চক্রে জড়িয়ে পড়ে। এই চক্র থেকে জেলেরা বেড়িয়ে আসতে পারে এর জন্য সব সময়ই মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।

এগ্রি২৪.টিভির বিদেশ, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা সিভি  ও নিউজ পাঠান agri24.tv@gmail.com এই ইমেইলে

সর্বশেষ