দীর্ঘ ১২ বছর পর অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা আজ (রবিবার) থেকে শুরু হচ্ছে। সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৯১ জন পরীক্ষার্থী। শেষ হবে বেলা ১টায়। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এ পরীক্ষা।
এ বছর পাঁচটি বিষয়ে মোট ৪০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষাকে ঘিরে ছয়টি বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে এবং সেগুলো যথাযথভাবে পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রুটিন অনুযায়ী, প্রথম দিন বাংলা বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে ২০২৫ সালের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ছয়টি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে, সেগুলো হলো—
পরীক্ষার কক্ষে প্রবেশ: পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ আসনে বসতে হবে।
দুটি বিষয় পরীক্ষা: প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। বিজ্ঞান বিষয়ের জন্য ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের জন্য ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট, অর্থাৎ সর্বমোট ৩ ঘণ্টা সময়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ওএমআর ফরম: পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্রের ‘ওএমআর’ ফরমে প্রথমে পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি লিখে পরে সংশ্লিষ্ট বৃত্ত ভরাট করতে হবে।
পরীক্ষার উত্তরপত্র: উত্তরপত্র কোনো অবস্থাতেই ভাঁজ করা যাবে না।
ক্যালকুলেটর ব্যবহার: জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫-এ নির্ধারিত ৮টি মডেলের সায়েন্টিফিক নন-প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। এছাড়া সাধারণ ক্যালকুলেটরও ব্যবহার করা যাবে।
ক্যালকুলেটরের নির্দিষ্ট মডেল উল্লেখ করে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা কেন্দ্র সচিব ও সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
নির্ধারিত মডেলগুলো হলো— FX 82 MS, FX 100 MS, FX 570 MS, FX 991 MS, FX 991 EX, FX 991 ES, FX 991 PLUS, FX 991 CW।
মুঠোফোন বহন নিষেধাজ্ঞা: কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন বা কোনো ইলেকট্রনিকস ডিভাইস পরীক্ষার কেন্দ্রে আনতে পারবে না।
পরীক্ষার সময়সূচি
প্রতিদিন সকাল ১০টা–দুপুর ১টা
বাংলা (১০১) – ২৮ ডিসেম্বর, রবিবার
ইংরেজি (১০৭) – ২৯ ডিসেম্বর, সোমবার
গণিত (১০৯) – ৩০ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার
বিজ্ঞান (১২৭) ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (১৫০) – ৩১ ডিসেম্বর, বুধবার
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় পরীক্ষার্থী ৮৭ হাজার ৯৪৯ জন, রাজশাহী বোর্ডে ৪৩ হাজার ৬৬০ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ৪০ হাজার ২১৯ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ২৯ হাজার ৫ জন, যশোর বোর্ডে ৩৮ হাজার ৬৭৬ জন, সিলেট বোর্ডে ২৩ হাজার ২২ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ৪০ হাজার ২৩১ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ২৩ হাজার ২০০ জন এবং বরিশাল বোর্ডে ২০ হাজার ৬২৯ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন।























