ঢাকা   বুধবার
০৫ নভেম্বর ২০২৫
২০ কার্তিক ১৪৩২, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০ কোটি ডলারের সয়াবিন কিনবে বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:১৮, ৫ নভেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০ কোটি ডলারের সয়াবিন কিনবে বাংলাদেশ

এক বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০০ কোটি ডলারের সয়াবিন কিনবে বাংলাদেশের তিন বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ, সিটি গ্রুপ ও ডেল্টা অ্যাগ্রোফুড ইন্ডাস্ট্রিজ। এর মধ্যে মেঘনা আনবে ১০ লাখ টন সয়াবিন বীজ, যা মোট আমদানির অর্ধেক।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর এক হোটেলে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল (ইউএসএসইসি) ও ইউএস সয় আয়োজিত লেটার অব ইন্টেন্ট (এলওআই) সই অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

স্মারক সই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করে ইউএসএসইসির (মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়া) নির্বাহী পরিচালক কেভিন এম রোপকি। উপস্থিত ছিলেন ডেল্টা অ্যাগ্রোফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসান, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক তানজিমা বিনতে মোস্তফা ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাসের এজাজ বিজয়সহ অন্যান্য ব্যবসায়ী ও খাত-সংশ্লিষ্টরা।

স্মারক সই অনুষ্ঠানে আমিরুল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের মান সব সময়ই অন্যদের চেয়ে ভালো থাকে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন বীজের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক। তবে আমি দাম নিয়ে কথা বলতে চাই না। আমাদের সামনে আরও অনেক সুযোগ রয়েছে। আমরা চাইলে বাংলাদেশে এলপিজি এবং অপরিশোধিত তেল আমদানি করতে পারি। দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। তবে আমরা এলপিজি, অপরিশোধিত তেল ও সয়াবিন আনতে পারলে দুই দেশের মধ্যে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যে করতে পারব। 

তানজিমা বিনতে মোস্তফা বলেন, আমরা গর্বিত যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সয়াবিন আমদানির মাধ্যমে বাংলাদেশের খাদ্য ও পশুখাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার অংশীদারিত্বে যুক্ত হতে পেরেছি। এ বছর মেঘনা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০ লাখ টন সয়াবিন আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে। 

মো. হাসান বলেন, বাংলাদেশের খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলে গুণগত মান ও টেকসই নিশ্চিত করতে আমরা সব সময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার মাধ্যমেই এ লক্ষ্য বাস্তবায়িত হচ্ছে। 

এরপর তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এলওআই সই হয়। এলওআই সইয়ের পর ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসন বলেন, আমরা আসলে দুই দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক সম্পর্কের কথা বলছি, যেখানে কৃষি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ৭৭৯ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। আর এ বছর তা এক বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, আমরা ৩৫০ মিলিয়ন ডলার থেকে এক বিলিয়নে পৌঁছেছি। এটি তিন গুণ বৃদ্ধি। এটি বাংলাদেশের বাজারের শক্তি ও সম্ভাবনা প্রমাণ করে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, সয়াবিন বীজ আমদানি হয় মূলত ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। গত অর্থবছরে সব মিলিয়ে ৭৮ কোটি ডলারের ১৭ লাখ ৩৫ হাজার টন সয়াবিন আমদানি হয়েছিল। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হয়েছিল ৩৫ কোটি ডলারের সয়াবিন বীজ।

সর্বশেষ