
বিশ্ববাজারে তেলের দাম আবারও কমেছে। ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করায় উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে তেলের দামে। শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল ৮টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত (জিএমটি) ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি কমেছে ৪৯ সেন্ট বা ০.৭১ শতাংশ। নতুন দাম ৬৮.৩১ ডলার। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউটিআই ক্রুড ৪১ সেন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬৬.৫৯ ডলার। খবর রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাজারে লেনদেন ছিল কম। এরই মাঝে খবর এসেছে, দেশটি আবারও ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরু করতে চায়।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বলেছেন, ‘তেহরান এখনো পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ যদিও এর আগের দিন ইরান পার্লামেন্ট আইএইএ’র (জাতিসংঘ পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা) সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার একটি আইন পাস করে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল খাতকে টার্গেট করে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। একইসঙ্গে হোয়াইট হাউসে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আলোচনায় ছিল ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা হ্রাসের কৌশল।
ট্রাম্প বলেন, ‘প্রয়োজনে ইরানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসতে রাজি আছি।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, আলোচনার এমন ইঙ্গিত বিশ্ববাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। তেল বাজার বিশ্লেষক সংস্থা Vanda Insights-এর প্রতিষ্ঠাতা বন্দনা হরি বলেন, ‘এই বার্তা নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা কমিয়েছে।’
এদিকে, ওপেক+ গোষ্ঠী আগস্টে দৈনিক ৪ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে। এতে বাজারে সরবরাহ বাড়বে।
অন্যদিকে, মার্কিন শুল্কনীতি ঘিরে আবারও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ৯০ দিনের বিরতির সময়সীমা ৯ জুলাই শেষ হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে ১০টি দেশকে চিঠি পাঠানো হবে, যেখানে তাদের পণ্যের ওপর নতুন করে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা থাকবে।
এই অবস্থার মধ্যেই বার্কলেস ব্যাংক জানিয়েছে, তারা ২০২৫ সালের জন্য ব্রেন্ট ক্রুডের মূল্যপ্রত্যাশা ৬ ডলার বাড়িয়ে ৭২ ডলার এবং ২০২৬ সালের জন্য ১০ ডলার বাড়িয়ে ৭০ ডলারে উন্নীত করেছে। চাহিদা বৃদ্ধির আশাতেই এমন পূর্বাভাস।