ঢাকা: দীর্ঘ ১৬ বছর পর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (কেআইবি) নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ ঘিরে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এর জের ধরে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেটে অবস্থিত কেআইবির প্রশাসনিক ভবনে ভাঙচুর চালিয়েছে বিএনপিপন্থি কৃষিবিদদের সংগঠন এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) একাংশ।
এ্যাবের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান কায়সার এবং সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন বিপ্লবের নেতৃত্বে ৭০ থেকে ৮০ জনের একটি দল ভবনে প্রবেশ করে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। তারা কেআইবির প্রশাসক লে. কর্নেল (অব.) মো. আব্দুর রব খানকে তাঁর দপ্তরে প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। তাঁকে পদত্যাগের জন্য হুমকি দেওয়া হয় এবং ভবিষ্যতে কেআইবিতে না আসার জন্য সতর্ক করা হয়। এ সময় হামলাকারীরা ভবনের নিরাপত্তারক্ষী ও অফিসকর্মীদের জোরপূর্বক বের করে দেন। তারা প্রশাসক ও নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের নামফলক, সিসি ক্যামেরা এবং নিচতলার সিসি ক্যামেরার কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যান।
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং রাতেই কেআইবি কর্তৃপক্ষ তেজগাঁও থানায় মামলা করে। মামলায় এ্যাবের আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ মোট ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কেআইবিতে নির্বাচন আয়োজনের প্রক্রিয়া শুরু হয় গত ২৯ সেপ্টেম্বর তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে। যদিও কমিশন এখনও তফসিল ঘোষণা করেনি, তবে তারা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার কথা জানিয়েছে। এ্যাবের পক্ষ থেকে এই নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করা হচ্ছে। তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কেআইবির নির্বাচন না করার দাবি জানিয়ে গত ২০ অক্টোবর বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং বর্তমান প্রশাসকের পদত্যাগ দাবি করে। সোমবারও তারা সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করে প্রশাসক অপসারণের দাবি জানান।
কেআইবির প্রশাসক মো. আব্দুর রব খান জানান, সরকার তাকে নিয়োগ দিয়েছে এবং তিনি হুমকি পেয়ে দায়িত্ব ছাড়বেন না। তিনি বলেন, ৯ মাসে সংগঠনের আর্থিক স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করার পর এখন নির্বাচন ঘিরে একটি গ্রুপ বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে।
সমাজকল্যাণ-বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ এই ভাঙচুরের ঘটনাকে দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে বলেন, যারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। অন্যদিকে, এ্যাবের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান কায়সার ভাঙচুরের দায় অস্বীকার করে বলেন, সাধারণ ভোটাররা জাতীয় নির্বাচনের আগে ভোট চান না, কৃষিবিদরা কেবল তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।























