ঢাকা   শনিবার
২১ জুন ২০২৫
৮ আষাঢ় ১৪৩২, ২৪ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

দ্বিপাক্ষিক পর্যটন সম্পর্ক আরো জোরদারে আগ্রহী বাংলাদেশ ও নেপাল

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪:০৩, ২১ জুন ২০২৫

দ্বিপাক্ষিক পর্যটন সম্পর্ক আরো জোরদারে আগ্রহী বাংলাদেশ ও নেপাল

বাংলাদেশ ও নেপাল দু’দেশের মধ্যে পর্যটন সম্পর্ক আরো জোরদার এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। রাজধানীর একটি হোটেলে শুক্রবার সন্ধ্যায় নেপাল-বাংলাদেশ পর্যটন সম্মেলনে এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়। অনুষ্ঠানে দুই দেশের পর্যটন খাতে যৌথ সম্ভাবনা ও সহযোগিতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয় ।

ঢাকায় নিযুক্ত নেপালী দূতাবাস এবং নেপাল ট্যুরিজম বোর্ড (এনটিবি) যৌথভাবে ‘প্রতিবেশী নেপাল: জীবনব্যাপী অভিজ্ঞতার ভূমি’ শিরোনামে সম্মেলনের আয়োজন করে। উভয় দেশের পর্যটন খাতগুলোতে আরো সহযোগিতার জন্য উভয় দেশের অংশীজনদের এই আয়োজনে যুক্ত করা হয়।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি। এসময় তিনি বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছে নেপালের দর্শনীয় স্থানের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিশেষ করে নেপালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং অ্যাডভেঞ্চারের জন্য বিভিন্ন স্থান পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে।

পর্যটন খাত এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বৃদ্ধিকে দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের নিদর্শন আখ্যায়িত করেছেন ঘনশ্যাম ভান্ডারি। ব্যবসা-বাণিজ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রদূত উভয় দেশের পর্যটন ও ভ্রমণ উদ্যোক্তাদের আরো শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং পর্যটনের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার আহ্বান জানান।

নেপাল ট্যুরিজম বোর্ড পরিচালক রোহিনী প্রসাদ খানাল দেশটির বিশাল পর্যটন খাতের বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। সে দেশে ট্রেকিং, পর্বতারোহণ, প্যারাগ্লাইডিং এবং আধ্যাত্মিক বিষয়াদি ও চিকিৎসা সুবিধা নিয়েও বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

রোহিনী খানাল বলেন, বাংলাদেশিদের কেবল ভ্রমণে আসার জন্যই বলছি না, বরং নেপালের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি; যেন বাড়ি ফিরে আসার পরেও আপনাদের ভুলে না যাওয়ার মতো কিছু গল্প থেকে যায়।

বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ কে এম মনিরুজ্জামান আঞ্চলিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে পর্যটনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দেন। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য বাংলাদেশ ও নেপালকে পরিপূরক গন্তব্য হিসেবে স্থাপন করে যৌথ পর্যটন প্যাকেজ উন্নয়নের পরামর্শ দেন তিনি।

নেপালী দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন সিলওয়াল জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে পর্যটন সহযোগিতা আরো গভীর করার ব্যাপারে নেপালের দৃঢ় ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছে এই আয়োজন।

সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্ট সংস্থার (এটিএবি) প্রেসিডেন্ট আবদুস সালাম আরেফ এবং এশিয়ার ট্যুরিজম ফেয়ারের চেয়্যারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল।

আনুষ্ঠানিক আয়োজনের আগে ব্যবসায়িক সহযোগিতা সহজ করার জন্য উভয় দেশের ভ্রমণ অপারেটরদের মধ্যে বি টু বি (ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের) এবং নেটওয়ার্কিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়। নেপালের প্রতিনিধিদলের মধ্যে এনটিবি কর্মকর্তারা এবং ১৩টি ভ্রমণ সংস্থার প্রতিনিধি ছিলেন। 

বাংলাদেশের পর্যটন খাতের সরকারি কর্মকর্তা, ভ্রমণ পরিচালনাকারী, বিমান সংস্থার কর্মী, হোটেল মালিক, এবং অন্যান্য সহযোগী মিলে ১৫০ জনের বেশি অংশ নেন।

সর্বশেষ