ঢাকা   শুক্রবার
২৮ নভেম্বর ২০২৫
১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২, ০৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

হাঁসের মাংস সরবরাহ করে ৬ হাজার টাকার উদ্যোগ এখন ৪৮ লাখ টাকা!

agri24.tv

প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

হাঁসের মাংস সরবরাহ করে ৬ হাজার টাকার উদ্যোগ এখন ৪৮ লাখ টাকা!

খাদ্য নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হাঁসের মাংস সরবরাহ করে নিয়ন এগ্রো প্রসেসিং কোম্পানি। উৎপাদনের প্রতিটি ধাপ, পণ্য সংগ্রহ থেকে টেবিল পর্যন্ত, কঠোরভাবে মান বজায় রেখে প্রক্রিয়ার পর আস্ত হাঁসে হলুদ পেস্ট ভালোভাবে মাখিয়ে আগুনে সেঁকে বা স্মোক করে নেওয়া হয় যাতে হাঁসের মাংসে প্রতিটি কামড়ে গ্রামীণ প্রাকৃতিক স্বাদ পাওয়া যায়। পাইকারি এবং খুচরা উভয় বাজারের জন্য রেডি টু কুক দেশি হাঁস তৈরি হয়ে সুপারশপ, রেস্তোরাঁ, খুচরা বিক্রেতার হাত ধরে চলে যায় গ্রাহকের ঘরে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে জামালপুরে এর যাত্রা। মাত্র ৬ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে প্রথমে ১০টি দেশি হাঁস প্রসেসের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। প্রথম মাস থেকেই ব্যাপক সাড়া পাওয়ার জন্য নিয়েন এগ্রোকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। আসছে শীত মৌসুমে নিয়ন এগ্রো ৬ হাজার পিস দেশি হাঁস প্রসেসিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে; যার বাজারমূল্য প্রায় ৪৮ লাখ টাকা।

প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নাজমুল হক নিয়নের বেড়ে ওঠাও জামালপুরে। ইউনিভার্সিটি সেইন্স ইসলাম মালয়েশিয়া থেকে পড়াশোনা শেষে নিয়ন এগ্রো শুরু করেন। প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ও আগামীর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে নাজমুল হক নিয়ন বলেন, ‘মূলত মালয়েশিয়ায় পড়ার সময়ে এর পরিকল্পনা মাথায় আসে। এরপর দেশে ফিরে কাজ শুরু করি। আমাদের রেডি টু কুক দেশি হাঁসসহ অন্যান্য পণ্যের মূল ক্রেতা হলো কর্মজীবী দম্পতিগুলো। এ ছাড়া যেসব মায়ের বাচ্চার স্কুল, কোচিংয়ের জন্য দিনের বড় একটি অংশ বাসার বাইরে থাকতে হয় তারা এবং ব্যাচেলররা আমাদের পণ্যগুলো কনজিউম করে থাকেন। 

২০২৩ সালের শেষের দিকে মূলত এর পরিকল্পনা শুরু করা হয়। পরে ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ বাণিজ্যিকভাবে শুরু করি। প্রথম দিকে হাঁস, কবুতর কেনা সম্পর্কে কোনো ধরনের ধারণা ছিল না। ভেবেছিলাম খুব সহজেই এটা করা যাবে। বাস্তবতা ভিন্ন। বিশেষ করে দেশি হাঁস কেনা। ভালো কোয়ালিটির দেশি হাঁস কেনা ব্যাপক অভিজ্ঞতার ব্যাপার। সত্যি বলতে হাঁসের এত কোয়ালিটি হয়, এটা জানা ছিল না। যেহেতু আমরা একেবারে গ্রামীণ বাজারগুলো থেকে হাঁস কিনি, তাই দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ লোকজনের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তারা অনেকেই বেশ সহযোগিতা করে। পরে যখন আমাদের সাপ্লাই চেইনটা তৈরি হয়ে যায় তখন আর খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। 

এখন যারা নিয়ন এগ্রোকে দেশি হাঁস সরবরাহ করে তারা সবাই ন্যূনতম ২০ বছরের অভিজ্ঞ হাঁস ব্যবসায়। এতদিন আমরা শুধু জামালপুর শহরে পণ্য সেল করলেও বর্তমানে ময়মনসিংহ শহরের কিছু সুপারশপসহ রাজধানী ঢাকায় পণ্য সরবরাহ করছি। দেশি হাঁসের একটি বড় সমস্যা পিন ফেদার। এই পিন ফেদার রিমুভ করার জন্য আমরা সম্প্রতি চীন থেকে বিশেষ এক ধরনের ইলেকট্রিক প্লাকার মেশিন আমদানি করেছি। ফলে কাস্টমারকে এখন আর ফিন ফেদারের ও কোয়ালিটি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।’