ঢাকা   বৃহস্পতিবার
০৬ নভেম্বর ২০২৫
২১ কার্তিক ১৪৩২, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

উত্তর জনপদের ৮ জেলায় শীতের আগমনী বার্তা 

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৫১, ৬ নভেম্বর ২০২৫

উত্তর জনপদের ৮ জেলায় শীতের আগমনী বার্তা 

দেশের উত্তর জনপদের ৮ জেলায় শীতের আগমনী বার্তা নেমে এসেছে। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল আটটা পর্যন্তউত্তর জনপদের ৮ জেলায় শীতের আগমনী বার্তা। এছাড়া পাকা ধানের সুবাস, শাপলা-শিউলির সৌন্দর্য আর ভোরের কুয়াশা—সব মিলিয়ে এক অনিন্দ্য দৃশ্য চোখে পড়ে উত্তরের এই জেলাগুলোতে। গ্রামীণ মানুষেরা বেশ বুঝতে পারছেন, শীত আসছে। 

আবহাওয়া অফিস বলছে, এ বছর ভারী শীতের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে বাতাসের আদ্রতা ১০০ এর নিচে নেমে এসেছে। 

এর মধ্যে কয়েকদিন ধরে ভোরের আলো ফোটার আগেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে রংপুরসহ আশপাশের জেলার গ্রামীণ জনপদগুলো। ভোরের হালকা শীত আর ঠাণ্ডা হাওয়া মনে করিয়ে দিচ্ছে, শীত আসতে দেরি নেই।

এরই মধ্যে এ অঞ্চলে শীতের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে বিছানার ওপর জায়গা পেতে শুরু করেছে পাতলা কাঁথা, চাদর ও কম্বল। দিনের বেলা রোদে তাপ থাকলেও রাত নামলেই শীতের মাত্রা বাড়ছে। বিশেষ করে মধ্যরাতের পর হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৩ শতাংশ।

শীতের আগমনের কথা জানিয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুর এলাকার অটোরিকশাচালক হরিদাস রায় বলেন, সকালে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছি কিন্তু ঘন কুয়াশায় রাস্তা দেখা যাচ্ছিল না। হেডলাইট জ্বালিয়ে খুব সাবধানে সেই সময় গাড়ি চালাতে হয়েছে।

রুবেল ইসলাম নামের আরেকজন বলেন, কয়েকদিন হলো সন্ধ্যার পর থেকে হালকা কুয়াশা নামছে। আজ সকালে বাইরে বেরিয়ে দেখি চারপাশ ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে। ৮টার পরও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি আজ।

রংপুর নগরীর হনুমানতলা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ফারিহা বলেন, ভোরে ঘুম ভাঙতেই জানালার ওপারে দেখি কুয়াশা। মনে হচ্ছিল যেন পুরো শহর ঢেকে আছে কুয়াশার চাদরে। কেউ ফজরের নামাজ শেষে হাঁটতে বের হচ্ছেন, কেউ আবার চায়ের দোকানে বসে গরম চায়ের কাপে গল্পে মেতে উঠেছেন। 

রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে ঠাণ্ডা একটু বেশি অনুভূত হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কিছু কমবে।

শীতের আগমন দেখে সচেতন মহল বলছেন, তীব্র শীতের আগেই অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা প্রয়োজন। 

রংপুরের জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল বলেন, শীত মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে উত্তরের ৮ জেলার তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র নদীর ৭৪৫টি চরে দ্রুত শীত বস্ত্র বিতরণ করা জরুরি, যাতে শীত নিবারণ করতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হয়ে কোনো ব্যক্তি প্রাণ না হারায়।

সর্বশেষ