ঢাকা   বুধবার
১৫ অক্টোবর ২০২৫
২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ২২ রবিউস সানি ১৪৪৭

আইএমএফের চাপানো শর্তে ঋণ নেবে না বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৪৩, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

আইএমএফের চাপানো শর্তে ঋণ নেবে না বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপিয়ে দেওয়া শর্তে ঋণ নিতে বাংলাদেশ আর কোনো নতি স্বীকার করবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক ধাক্কায় রিজার্ভের ধারাবাহিক পতন শুরু হলে ২০২২ সালে নানা শর্তে আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে বাংলাদেশ। পরে ২০২৪ সালে অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতায় এসে অন্তর্বর্তী সরকার আরও ৮০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি করে এবং একইসঙ্গে দাতা সংস্থার সংস্কার প্রশ্নে নানা শর্ত বাড়তে থাকে। 

কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে রেমিট্যান্স ও প্রবাসী আয়ের চমক বাংলাদেশের সক্ষমতার জানান দিচ্ছে। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, 'আইএমএফ যদি পুনরায় নানান শর্ত জুড়ে দেয়, তাহলে যেগুলো আমাদের জন্য বন্ধুসুলভ না, সেখানে যাব না।'

বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সরকারের প্রতিনিধিরা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন। সংবাদ সম্মেলনে অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার জানান, বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা মিগার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। রপ্তানিকারকদের সহায়তা দিতে এবং রিজার্ভের ওপর যাতে চাপ না পড়ে, সেজন্য রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ তহবিলের জন্য সংস্থাটি ৫০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দেবে। এটি নিয়ে বর্তমানে আলোচনা চলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে সরকারের প্রতিনিধিরা জানান, কোনো বিশেষ গ্রুপকে সহায়তা দিতে নয় বরং সেবার মান নিশ্চিত করতেই চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। সরকারের প্রতিনিধিদের প্রত্যাশা, অন্তর্বর্তী সরকার মেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এই প্রেক্ষাপটে প্রতি মাসে ৩-৪ বিলিয়ন ডলার প্রবাসী আয়ের পাশাপাশি রপ্তানি আয়েও গতি বাড়াতে পারলে দাতা সংস্থার ঋণ নির্ভরতা অনেকটাই কমে আসবে বাংলাদেশের।

সর্বশেষ