
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পলিশেড হাউজে প্লাস্টিক ট্রেতে চারা উৎপাদন করে সাফল্যের মুখ দেখেছেন এক তরুণ। করোনাকালে ইউটিউব দেখে পলিশেড হাউজে চারা উৎপাদন শেখেন তিনি। বর্তমানে এক বিঘা জমির তিন শেডে উৎপাদন করছেন প্রায় ১১ লাখ চারা। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে স্থানীয়দের।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার পানিশাইল গ্রামের বিকাশ চন্দ্র সরকার। করোনার সময়ে ইউটিউবে দেখে শেখেন পলিশেড হাউজে প্লাস্টিক ট্রেতে চারা উৎপাদনের কৌশল। পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির পাশে উৎপাদন করেন প্রায় ১০ হাজার সবজি চারা।
সারা বছরই চারা উৎপাদনের কাজ চললেও শীত মৌসুমে চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে এক বিঘা জমিতে তিনটি শেডে ব্রকোলি, ফুলকপি, টমেটোসহ বিভিন্ন জাতের প্রায় ১১ লাখ সবজির চারা উৎপাদন করছেন বিকাশ চন্দ্র সরকার। চারাগুলো ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয় বলেও জানান এ উদ্যোক্তা।
উদ্যোক্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘তিনটি শেড আছে। এখানে এক সিজনে ১০ থেকে ১২ লাখ চারা উৎপাদন করা হয়। এখানে ১০ জন লোক কাজ করে। বছরে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা লাভ থাকে।’
পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বিকাশের সঙ্গে কাজ করছেন আরও ৮ থেকে ১০ জন শ্রমিক। মানসম্মত চারা উৎপাদনের কারণে মানিকগঞ্জ ছাড়াও সাভার, দোহার, কেরানীগঞ্জসহ আশপাশের জেলার কৃষকরাও চারা নিয়ে যাচ্ছেন এ উদ্যোক্তার কাছ থেকে।
ক্রেতারা জানান, তারা এখান থেকে নিয়মিত চারা কিনে থাকেন। এখানে থেকে তাদের চারা নিলে চারার গুণগত মান ঠিক থাকে। পাশাপাশি তাদের পরিবহণের খরচও কম হয়।
পলিশেড হাউজে প্লাস্টিক ট্রেতে চারা উৎপাদনে খরচ ও ঝুঁকি তুলনামূলক কম। তরুণ উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
মানিকগঞ্জ সিংগাইর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, ‘উন্মুক্ত মাঠে কাজ করলে চারা ঝড় বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যেত, তবে এখানে তা হচ্ছে না। তাকে একটি শেড তৈরি করে দেয়া হয়েছে, এতে সে উৎসাহিত হয়ে কাজ করতে পারে।’
শীত মৌসুমে পলিশেড হাউজে প্লাস্টিক ট্রেতে চারা উৎপাদন করে অন্তত ৬ লাখ টাকা আয়ের আশা বিকাশের।