
বান্দরবানের সবুজ পাহাড় জুমের পাকা ধানে সোনালী আভা ছড়িয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। পাহাড়ি পল্লীগুলোয় এখন চলছে ধান কাটার উৎসব। কৃষি বিভাগ জানায়, গেলো বছরের তুলনায় এ বছর জেলায় ৯২০ হেক্টর বেশি জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে।
পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বসবাসকারী পাহাড়িদের আদি পেশা জুম চাষ। দুর্গম পাহাড়ের অধিকাংশ বাসিন্দাই জুম চাষের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন।
জেলার রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে জুমে ধান চাষ করা হয়। প্রতিবছর এপ্রিল মাসে জমি প্রস্তুত করে লাগানো হয় নিড়িখা, উফশি, পিডি, ককরো, বিভিন্নি, গেলং এবং কানভূই জাতের ধান। এরপর চার মাস পরিচর্যা শেষে সেপ্টেম্বরে শুরু হয় জুমের ধান কাটা। চলে অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর জুমিয়া পরিবারগুলো সংগ্রহ করে রাখে সারা বছরের খোরাকি।
স্থানীয়রা জানান, তাদের ফলন ভালো হয়েছে। হলুদ, মরিচসহ ধান বপন করেছিলেন তারা।
কৃষি বিভাগ বলছে, পার্বত্য অঞ্চল হওয়ায় সব জায়গায় সমান ভাবে বৃষ্টিপাত হয় না বলে উৎপাদনে তারতম্য হয়। একেক জায়গার ফলন একেক রকম হয়ে থাকে।
বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক তৌফিক আহমেদ নুর বলেন, ‘আবহাওয়া ভালো ছিলো। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। ফলে আমরা আশা করছি এ বছর আমাদের ফলন বাড়বে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গেলো বছর জেলায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়। এ বছর তা প্রায় এক হাজার হেক্টর বেড়েছে।