ঢাকা   মঙ্গলবার
০৭ অক্টোবর ২০২৫
২১ আশ্বিন ১৪৩২, ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

ইউটিউব দেখে ‘প্যাশন’ চাষ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:০৩, ১ অক্টোবর ২০২৫

ইউটিউব দেখে ‘প্যাশন’ চাষ

ঝিনাইদহের মহেশপুরে চাষ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল ও ফিলিপিন্সের জনপ্রিয় ফল প্যাশন বা ট্যাং। তবে অঞ্চলভেদে এর ভিন্ন নামও আছে। অনেকে বলে আনারকলি আবার অনেকে বলে ট্যাং। দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি পরিচিত পার্পেল গ্রানাডিলা নামে।

ফলটির বৈজ্ঞানিক নাম প্যাসিফ্লোরা ইডিউলাস। মিষ্টি স্বাদ ও উপকারিতার কারণে অনেক দেশেই ফলটি বেশ জনপ্রিয়। জেলায় প্রথমবারের মতো এই ফলটি বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছেন মহেশপুর উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের কৃষক মাহমুদুল হাসান স্টালিন।জানা যায়, ইউটিউব দেখে স্টালিনের আগ্রহ জাগে প্যাশন ফল চাষে।

যশোর থেকে পাঁচটি চারা সংগ্রহ করে পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর আড়াই বিঘা প্যাশনসহ ২৫ বিঘা জমিতে পেয়ারা, ড্রাগন, কমলা, কুল, মাল্টা রয়েছে। স্টালিন বলেন, এটি একটি লাভজনক চাষ। অল্প খরচে জৈব সার দিয়ে এর চাষ করা যায়।

প্যাশনগাছে বছরে দুইবার ফল ধরে। প্রতি বিঘায়  এক লাখ ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি ফল শুরুর দিকে পাঁচ-সাত টাকা বিক্রি করলেও বর্তমানে ১৫ থেকে ২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, চিটাগাংয়ের ব্যবসায়ীরা জমি থেকে এসে ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পূর্ণাঙ্গ ফল গোলাকার বা ডিম্বাকার।

কাঁচা অবস্থায় এটি সবুজ হয়। তবে পরিণত অবস্থায় হলুদ বা গাঢ় বেগুনি রং ধারণ করে।
স্থানীয় চাষি সোহেল বলেন, ‘অল্প খরচে এই ফল চাষ করা যায় এবং দামেও বিক্রি করা যায়। সে জন্য আমি এই ফল চাষ করব ভেবে স্টালিনের কাছে পরামর্শ নিচ্ছি।’

এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা ইয়াসমিন বলেন, ‘ফলটি বিদেশি। কেউ এই ফল চাষে আগ্রহী হলে আমরা পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করব।’