ঢাকা   বুধবার
০৭ মে ২০২৫
২৩ বৈশাখ ১৪৩২, ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৬

শেকৃবিতে হয়ে গেল ধানের রোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে একাডেমি লেকচার

শেকৃবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:০৩, ৬ মে ২০২৫

শেকৃবিতে হয়ে গেল ধানের রোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে একাডেমি লেকচার

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স (বিএএস) কর্তৃক আয়োজিত হয়েছে ‘প্যাথোটাইপ প্রোফাইলিং, পিরামিডিং অব মাল্টিপল জিন্স অব ডিজিজ রেজিস্ট্যান্স অ্যান্ড পটেনশিয়াল ইউজ অব বায়ো-সিনথেসাইজড ন্যানোপার্টিকেলস ইন রাইস ডিজিজেস ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ একাডেমি লেকচার। গতকাল সোমবার (৫ মে, ২০২৫) বেলা সোয়া এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিক ভবনের চতুর্থ তলার কনফারেন্স রুমে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স’র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. জহুরুল করিম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেকৃবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল লতিফ। শেকৃবি’র কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মীর্জা হাসানুজ্জামানের সঞ্চালনায় এবং বিএএস’র ফেলো ড. এম. ইদ্রিস আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই লেকচারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুপ্রীম রাইস রিসার্চ সেন্টারের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ড. মোঃ আব্দুল লতিফ। তিনি ধানের ব্যাক্টেরিয়াল ব্লাইট, ব্লাস্ট ও টুংরো রোগ ব্যবস্থাপনায় ন্যানো টেকনোলজি, প্যাথোটাইপ প্রোফাইলিং ও জিন পিরামিডিং পদ্ধতির প্রয়োগের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. জহুরুল করিম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞানভিত্তিক লেকচার ও আলোচনা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আরও বেশি সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকাল জেনোটাইপ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল লতিফ ফসলের রোগ-বালাইয়ের কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য ব্রিডার, প্যাথলজিস্ট ও এন্টোমোলজিস্টদের সমন্বিত কাজের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া ফলপ্রসূ রোগ ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। কৃষিতে ন্যানো টেকনোলজির প্রয়োগ নিয়ে তিনি বলেন, এর ব্যবহারে মানবদেহে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা, তা আগে নিশ্চিত করতে হবে। একসময়ের কীটনাশক ব্যবহারের প্রচারণার বিপরীতে এখন এর ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ’র ডিন অধ্যাপক ড. এম. সালাউদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী, সাউরেস’র পরিচালক অধ্যাপক ড. এফ. এম. আমিনুজ্জামান, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ ছরোয়ার হোসেন, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ রজ্জব আলী, ইনস্টিটিউট অব সিড টেকনোলজি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজনীন সুলতানা, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক মোঃ মাহবুবুল আলম, পিএইচ.ডি, উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও ল্যান্ডস্কেপিং এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ হুমায়ুন কবির, বহিরাঙ্গন কার্যক্রম বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জামশেদ আলম, এগ্রিকালচারাল বোটানি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলমসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত বিজ্ঞানীগণ।