ঢাকা   মঙ্গলবার
০৭ অক্টোবর ২০২৫
২১ আশ্বিন ১৪৩২, ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

তিস্তার পাড়ে রেড অ্যালার্ট

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২:৩০, ৫ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ২২:৩১, ৫ অক্টোবর ২০২৫

তিস্তার পাড়ে রেড অ্যালার্ট

উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের ফলে তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ করে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে লালমনিরহাট জেলার তিস্তা পাড়ের নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রোববার সন্ধ্যায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে এবং এলাকাবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং শুরু করেছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয়েছে ৫২.২৫ মিটার, যা বিপৎসীমা (৫২.১৫ মিটার) থেকে ১০ সেন্টিমিটার ওপরে।

রোববার দুপুর ১২টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। বিকেল ৩টায় তা বিপৎসীমা অতিক্রম করে ১ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে এবং সন্ধ্যায় পৌঁছায় ১০ সেন্টিমিটার ওপরে। পাউবো সূত্রে জানা গেছে, উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণ এই পানি বৃদ্ধির মূল কারণ।

এদিকে তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নঞ্চলের বিভিন্ন ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে পড়েছেন। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৮-১০টি চর, পাটগ্রাম উপজেলা দহগ্রাম, আদিতমারী উপজেলা চর গোবর্ধন, মহিষখোঁচা এবং সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের চর এবং নিম্নাঞ্চলের এলাকাগুলোতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।

তিস্তা পাড়ের অনেকেই বলছেন, রাতে ঘুমাতে পারছি না। কখন যে নদী ভাঙে, ঘরে পানি উঠে—এই আতঙ্কে আছি।

তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টের পানির লেভেল পরিমাপক নুরুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে। রাতে পানি আরও বাড়তে পারে। তিস্তার নিম্নঞ্চলের মানুষদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, বর্তমানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে এবং বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিস্তায় দ্রুত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা পাড়ে রেড অ্যালার্ট জারি করে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। তিস্তার নিম্নাঞ্চলের মানুষদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।