ঢাকা   রোববার
২৯ জুন ২০২৫
১৬ আষাঢ় ১৪৩২, ০৩ মুহররম ১৪৪৭

নাগালের বাইরে শুঁটকি বাজার, কেজিতে দাম বেড়েছে ৩শ টাকা পর্যন্ত

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:০৬, ১৪ মে ২০২৪

নাগালের বাইরে শুঁটকি বাজার, কেজিতে দাম বেড়েছে ৩শ টাকা পর্যন্ত

দীর্ঘদিন ধরে অস্থিরতা চলছে ভোগ্যপণ্যের বাজারে। এবার দাম বেড়ে ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে গেছে শুঁটকি। মাসের ব্যবধানে সব ধরনের শুঁটকি কেজিতে দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৩শ টাকা পর্যন্ত।

সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাগরে মাছের পরিমাণ কমে যাওয়া, শুঁটকি তৈরির অন্যতম উপাদান লবণের দাম বৃদ্ধি ও হিমায়িত করে মাছ বিদেশে রপ্তানি করার কারণে শুঁটকির উৎপাদন কমে গেছে। পাশাপাশি আগের তুলনায় পরিবহন খরচ ও শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ার কারণে শুঁটকির দামও এখন বাড়তির দিকে।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে শিয়ালখোওয়া বাজারে বিভিন্ন শুঁটকির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের শুঁটকি কেজিতে ৫০ থেকে ৩শ টাকা বেড়েছে। কেজিতে ভেটকি শুঁটকি ১ হাজার টাকা, দেশি চেপা শুঁটকি ১ হাজার ২শ টাকা, চিংড়ি শুঁটকি ছয়শ টাকা, বালিয়া শুঁটকি ৪শ টাকা, লইট্টা এক হাজার দুইশ টাকা, ফেওয়া শুঁটকি ৪শ টাকা, হিছুটিমলা শুঁটকি ৪শ টাকা, ছুরি শুঁটকি ৫শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে চিংড়ি শুঁটকি ৫৫০ টাকা, বাঁশপাতা সিদল শুঁটকি ৪শ টাকা ও ৫০ টাকা বেড়ে চেপা শুঁটকি (বড়) ৮শ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

কালীগঞ্জের শিয়ালখোওয়া বাজার এলাকার শুঁটকি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, লবণের দাম আগে ৫শ টাকা ছিল, এখন ৮শ টাকা। তার ওপর সাগরে মাছ কমে গেছে, হিমায়িত মাছের রপ্তানি বেড়েছে। তাই আমাদের দেশে শুঁটকির উৎপাদন অনেক কমে গেছে। শুঁটকি আমদানি করতে গিয়েও বাড়তি খরচ দিতে হচ্ছে। আমাদের দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, শ্রমিকের মজুরি তো আছেই। সবমিলিয়ে দামটা বেড়েছে। তাই ক্রেতার সংখ্যাও কমে গেছে।

আরেক ব্যবসায়ী মো. কাশেম মিয়া বলেন, বাজারে মাছের দাম বেশ চড়া। এক কেজি ছুরি শুঁটকি উৎপাদনে পাঁচ থেকে ছয় কেজি মাছ লাগে। আট কেজি লইট্টা মাছ শুকালে এক কেজি লইট্টা শুঁটকি পাওয়া যায়। তার ওপর লবণ আর মজুরি বেড়েছে। তাই দাম বেশি।

সর্বশেষ