
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃষকদের মাঝে মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এ পদ্ধতিতে খরচ কম কিন্তু অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় ফলন বেশি হয়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ৮৬ হেক্টর জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে শসার আবাদ হয়েছে। প্রতি বিঘায় ৪০ থেকে ৪৫ মণ শসা উৎপাদন হয়।
সদর উপজেলার মোহনপুর গ্রামের কৃষক রতন মিয়া বলেন, তিন বছর ধরে মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ করছি। প্রথমবার লাভ কিছুটা কম হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়বার থেকে বেশ লাভ হচ্ছে। এবারও আড়াই বিঘা জমিতে আবাদ করেছি। বিঘাপ্রতি খরচ বাদে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভ হয়।
সদর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমেনা বেগম জানান, এক বিঘা জমিতে শসা চাষে খরচ হয় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কৃষকেরা বিঘাপ্রতি পাইকারি ১ লাখ ১০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারেন।
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম বলেন, সদর উপজেলায় প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ হয়েছে। কৃষকেরা মূলত কোরবানি ঈদ সামনে রেখে শসা চাষে ব্যস্ত রয়েছেন। আলভি গ্রিন, কুলফি, মালিনীসহ বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড শসা চাষ হয়েছে। এসব জাতের শসা সুস্বাদু, ছোট আকৃতি এবং দেশি শসার মতো মনে হওয়ায় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) মইনুল হক সরকার জানান, মালচিং পদ্ধতিতে নিড়ানির বড় খরচ থেকে মুক্তি পায় কৃষকেরা। মাটিতে পানি-সংরক্ষণ হওয়ায় সেচের খরচ প্রায় ৭০ শতাংশ কম হয়। রোগ-পোকার উপদ্রবও কম থাকে।
এগ্রি২৪.টিভির বিদেশ, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হতে আগ্রহীরা সিভি ও নিউজ পাঠান agri24.tv@gmail.com এই ইমেইলে